ভালবাসার গল্প বাংলা love story bangla

This is default featured slide 1 title

Go to Blogger edit html and find these sentences.Now replace these sentences with your own descriptions.This theme is Bloggerized by Lasantha Bandara - Premiumbloggertemplates.com.

This is default featured slide 2 title

Go to Blogger edit html and find these sentences.Now replace these sentences with your own descriptions.This theme is Bloggerized by Lasantha Bandara - Premiumbloggertemplates.com.

This is default featured slide 3 title

Go to Blogger edit html and find these sentences.Now replace these sentences with your own descriptions.This theme is Bloggerized by Lasantha Bandara - Premiumbloggertemplates.com.

This is default featured slide 4 title

Go to Blogger edit html and find these sentences.Now replace these sentences with your own descriptions.This theme is Bloggerized by Lasantha Bandara - Premiumbloggertemplates.com.

This is default featured slide 5 title

Go to Blogger edit html and find these sentences.Now replace these sentences with your own descriptions.This theme is Bloggerized by Lasantha Bandara - Premiumbloggertemplates.com.

Sunday, August 27, 2017

আংকেল কি সত্যি তোমার বিয়ে ঠিক করেছেন??...!!

--নিহা,, ক্লাস তো শেষ... বাসায় যাবেনা...?? (আরশ)
-- (নিহা চুপ করে অসহায়ের মতো আরশের দিকে তাকিয়ে আছে)...!!
--আজব তো, এরকম বোবার মতো আমার দিকে তাকিয়ে আছো কেনো?? বাসায় যাবেনা...??
--আরশ, আমি আর বাসায় ফিরে যেতে চাইনা,, বাবা আমার বিয়ে ঠিক করে ফেলছে... আজকেই মনে হয় আমার শেষ ক্লাস... আমি আর বাসায় ফিরে যাবোনা...!!
--হিহিহি,, মজা করতে করতে এখন নিজের বিয়ে নিয়েও মজা করা শুরু করছো...? মাত্রই তো আমরা অনার্স ২য় ইয়ারে উঠলাম,, এখন আবার কিসের বিয়ে?? ফান বন্ধ করো প্লিজ...!!
কথাটা বলে নিহার চোখের দিকে তাকায় আরশ,, নিহার চোখ থেকে পানি গড়িয়ে পড়ছে... এই পানিটুকু আর যাইহোক, কখনো মজা হতে পারেনা...!!
--আংকেল কি সত্যি তোমার বিয়ে ঠিক করেছেন??...!!
আরশের প্রশ্নের উত্তর মুখ দিয়ে দিতে পারেনা নিহা,, কাঁদতে কাদঁতে মাথা নেড়ে হ্যা সূচক উত্তর দেয় সে...! নিহা আরশের হাত ধরে বলে-
--আরশ,, বাবা এবার সত্যি সত্যি আমাকে বিয়ে দিয়ে দিবে... ছেলে  অনেক ভালো জব করে,, বিয়ের পর আমাকে স্টাডিও করতে দিবে... এরকম পাত্র বাবা কখনোই হাতছাড়া করবেন না,,, কিন্তু আমি যে তোমাকে ছাড়া অন্য কাউকে কখনো কল্পনাও করতে পারিনা... আমি তোমাকে না পেলে সত্যি মরে যাবো... কিছু একটা করো প্লিজ,, আমাকে এখন তোমার বাসায় নিয়ে যাও...!!
নিহার কথা শুনে নিহার চোখের দিকে তাকায় আরশ,, এরকম কান্না করতে মেয়েটাকে সে কখনোই দেখেনি... আরশ নিহার চোখের দিকে তাকিয়ে শক্ত করে নিহার হাতটা ধরে বলে-
--আমি আছিতো,, বিশ্বাস রাখো আমার উপর... আমি নিশ্চই কিছু একটা করবো... আমাকে আজকের দিনটা সময় দাও প্লিজ... তুমি এখন বাসায় যাও, আমি দেখি কি করা যায়...!!
আরশের কথা শুনে ডান হাত দিয়ে চোখটা মুছতে মুছতে বাসার দিকে হাঁটতে শুরু করে নিহা... তার মনে আরশের উপর অনেকটা বিশ্বাস,, আরশ নিশ্চই কিছু একটা করবে... নিশ্চই করবে...!!
.
নিহার বিয়ে হয়ে যাবে শুনার পর আরশের মাথা একদম কাজ করছেনা... মাথায় একটাই চিন্তা ঘুরপাক খাচ্ছে, "কি করে নিহার বিয়ে বন্ধ করা যায়"... কি করে...?? কথাগুলো ভাবতে ভাবতে আম্মুর রুমের দিকে হাটাঁ শুরু করে আরশ...!!!
--আম্মু,, তোমার সাথে আমার একটা জুরুরি কথা আছে...!!
ছেলের মুখে জুরুরি শব্দটা শুনে আরশের মুখের দিকে তাকালেন মিসেস মেহরাব,, আরশের চেহারাটা প্রচন্ড সিরিয়াস টাইপের মনে হচ্ছে...
 এরকম চেহারা আরশের খুব একটা দেখা যায়না...!!
--কিছু হইছে বাবা?? কোনো সিরিয়াস কিছু...??
--হুম আম্মু,, আমি কথাটা কিভাবে তোমাকে বলবো বুঝতে পারছিনা,, কিন্তু আমি বিশ্বাস করি তুমি আমার প্রবলেমটা বুঝবে...!!
--আরশ,, আম্মুকে সব খুলে বলতো,, হইছে টা কি??...!!
--আম্মু, আমি একটা মেয়েকে ভালোবাসি...!!
ছেলের মুখে কথাটা শুনে মুচকি হাসি দিলেন মিসেস মেহরাব... আরশের গালে আলতো করে একটা থাপ্পড় দিয়ে বললেন-
--উফফফ,, ধুর বোকা ছেলে, এই কথাটা বলার জন্য তুই এরকম মুখ করে দাঁড়িয়ে ছিলি...?? আমি আরো ভাবলাম কি না'কি... ভালোবাসিস এটা তো ভালো কথা,, মেয়েটাকে একদিন নিয়ে এসে আম্মুর সাথে পরিচয় করিয়ে দিস...!!
--আম্মু,, আমি মেয়েটাকে বিয়ে করতে চাই...!!
--হুম বিয়ে করবি তো,, আমি আর তোর পাপা সবসময় তোর পছন্দ সবার আগে রাখি,, এবার ও রাখবো... মেয়েটাকে নিয়ে আয় একদিন, আমরা কথা বলি ওর সাথে... তারপর তোর পড়া শেষ হয়ে গেলে আমরা ওর বাবা-মায়ের সাথে কথা বলবো...!!
--না আম্মু,,, অনেক দেরি হয়ে যাবে... আমি ২-৩দিনের মধ্যেই বিয়েটা করতে চাই আম্মু...!!
আরশের মুখে ২-৩দিন শুনে মিসেস মেহরাবের হাসিভরা মুখটা মুহৃর্তের মধ্যেই কালো হয়ে গেলো... মাত্র অনার্স সেকেন্ড ইয়ারে পড়া ছেলের মুখে এরকম কথা শুনতে হবে এটা তিনি কখনোই কল্পনা করেন নি...!!
--তোর মাথা ঠিক আছে আরশ?? তুই এখন মাত্র অনার্স সেকেন্ড ইয়ারে... এখন তোর ক্যারিয়ার গড়ার সময়,, বিয়ে করার নয়...!!
--আম্মু, এখন বিয়ে না করলে আমার ভালোবাসার মানুষটাকে চিরদিনের জন্য হারাতে হবে... তুমি পাপাকে একটু বুঝাও আম্মু,, প্লিজ...!!
--জাস্ট চুপ করো আরশ,, ছোট থেকে তুমি যা চাইছো তাই দিয়ে আসছি,, কিন্তু তোমার এই আবেগ আর পাগলামিটাকে আমরা কখনোই মেনে নিবনা... তুমি কি করে ভাবলে এই কথাটা আমি তোমার পাপাকে গিয়ে বলবো??...!!
--আম্মু প্লিজ,, এরকম করিওনা,, একটু শুনো আমার কথা...!!
--আমি বলছিনা চুপ থাকতে,,, কি করে তোমার মাথায় এসব চিন্তা আসে?? তোমার পাপা শুনলে কতোটা কষ্ট পাবে একবার ও ভাবছো?? ওনার স্বপ্ন তুমি,, ওনার এতো কষ্ট করে টাকা ইনকাম কারন তুমি,, ওনার রাতে ঘুম না আসার চিন্তা তুমি,, শুধুই তুমি... সেই পাপা যদি শুনেন তার ২০বছরের ছেলে পড়াশুনায় মন না দিয়ে বিয়ে করতে চাইছে, তখন তার অবস্থা কি হবে একবার ও ভাবছো?? নিজের রুমে গিয়ে কথাগুলো চিন্তা করে দেখো... এখন যাও এখান থেকে...!!
আম্মুর কথা শুনে অসহায়ের মতো রুমে চলে যায় আরশ...!! ঠিক এই মুহৃর্তে আরশের কি করা উচিত আরশ সেটা জানেনা...  সে শুধু জানে, তার পাপাকে সে কষ্ট দিতে পারবেনা,, কখনোই না...!!
.
পরেরদিন সকালে ক্লাসের সামনে দাঁড়িয়ে আরশের জন্য অপেক্ষা করছে নিহা... আরশকে রিক্সা থেকে নামতে দেখেই দৌড়ে আরশের কাছে যায় সে..!!
--আরশ,, আমি তোমার জন্যই অপেক্ষা করছিলাম...!!
--আমাকে ভুলে যাও নিহা...!!
আরশের মুখ থেকে এরকম কথা শুনার জন্য একদম রেডি ছিলোনা নিহা,,, কথাটা শুনেই বিশাল রকমের ধাক্কা খেলো সে...!!
--কি বললে আরশ??..
--আমাকে ভুলে যাও তুমি,,, যদি এখন আমি তোমাকে বিয়ে করি, তাহলে আমার পাপা-আম্মু অনেক কষ্ট পাবে,, তোমার আব্বু-আম্মুও অনেক কষ্ট পাবে... ওনাদের কষ্ট দিয়ে আমরা কখনোই সুখি হতে পারবনা নিহা,, তার চাইতে ভালো এটাই হবে যে, তুমি তোমার আব্বুর পছন্দ করা ছেলেকে বিয়ে করে ফেলো... (কথাগুলো নিচের দিকে তাকিয়ে বললো আরশ, নিহার মুখের দিকে তাকিয়ে তার পক্ষে কথাগুলো বলা সম্ভব ছিলোনা)...!!
--আরশের মুখে কথাগুলো শুনে ২পা পিছন দিকে হেটেঁ গেলো নিহা,, ফুপিয়ে ফুপিয়ে কান্না করতে করতে আরশকে বললো-
--ঠিক আছে, তুমি যেটা চাও সেটাই হবে...!!
এই মুহৃর্তে কান্না করতে করতে আরশের কাছ থেকে একটু একটু করে দূরে চলে যাচ্ছে নিহা... আরশ একবার ও ফিরে তাকাচ্ছে'না নিহার দিকে,,, কোনো একটা অজানা ভয় কাজ করছে তার ভিতর... নিহার চোখের পানি দেখে যদি তার ভিতর মায়াটা বেড়ে যায়?? যদি নিহাকে আটকাতে মন চায়?? তাই নিহার দিকে তাকাবেনা সে,, হয়তো এটাই আরশ আর নিহার শেষ দেখা... হয়তো এটাই শেষ কথা...!!
.
"""২বছর পর"""
.
নিহা নামের মেয়েটার আজকে বিয়ের ২বছর পূর্ণ হলো,,, একটা ৬মাসের ছেলেও আছে তার... বিয়ের প্রথম বছর আরশকে খুব মনে পড়তো নিহার,, কিন্তু একটা সন্তান হওয়ার পর আরশকে এখন আর প্রতিদিন মনে পড়েনা,, মাঝে মাঝে তার মনেহয় ২বছর আগে আরশ নামে তার লাইফে কেউ একজন ছিলো... কেউ একজন...!!
.
আরশ নামের ছেলেটার কিছুদিন আগেই অনার্স কমপ্লিট হলো,, এই ২বছরে পড়াশুনায় খুব একটা মন দিতে না পারলেও রেজাল্ট খুব একটা খারাপ হয়নি,, এই ২বছরে এমন একটা রাত নেই, যে রাতটা সে নিহাকে মিস করেনি... নিহার জন্য কতোবার যে তার চোখের পানিতে বালিশটা ভিজেছে, তার হিসাব কেউই জানেনা...!! তারপরেও সে প্রতিদিন সকালটা একটা মিথ্যা হাসি দিয়ে শুরু করে, হাসিটা স্রেফ তার পাপার জন্য,, তার আম্মুর জন্য...!!
.
'""আরো ৩ বছর পর"""
.
নিহা নামের মেয়েটা এখন ২সন্তানের মা,, গতবছর সে আরো একটা ছেলে সন্তানের জন্ম দেয়... এইতো ৫বছর আগেও আরশ নামে তার লাইফে কেউ একজন ছিলো, নিহার সেটা এখন আর মনে পড়েনা... নিহার মাথায় এখন ১টাই চিন্তা, তার ২টা ছেলের ফিউচার সুন্দর করতে হবে... ওদের মানুষের মতো মানুষ বানাতে হবে...!!
.
আরশ নামের ছেলেটা এখন পড়াশুনা শেষ করে ভালো একটা জব করে,, পাপা আর আম্মুর মুখে হাসি দেখেই শুরু হয় তার প্রতিটাদিন,, কিন্তু আজও কোনো একটা রাতে ঘুমাতে যাবার সময় তার একা লাগে,, খুব একা লাগে... নিহা নামের কেউ একজন এখন অন্য কারো পাশের বালিশে ঘুমিয়ে আছে, কথাটা ভাবতেই তার বুকটা ধুক করে উঠে... হয়তো নিহার পাশের বালিশটায় আজকে তার থাকার কথা ছিলো...! তাই একটা দীর্ঘশ্বাস আজও থেকে গেছে আরশের মনের ভিতর...!!!
.
--বাবা আরশ,, এখন তো তোমার লাইফটা ভালোই গুছিয়ে নিয়েছো... এবার আমরা একটা বউমা নিয়ে আসি..?? (মিঃ মেহরাব)...!!
পাপার প্রশ্ন শুনে আরশ মুচকি হেসে বলে-
--ভুল বললে পাপা, লাইফটা আমি গুছিয়ে নেইনি,, তুমিই গুছিয়ে দিয়েছো... আর বউমা?? সেটা তোমাদের যা ভালো মনে হয় তাই করো...!!
--ঠিক আছে,, তোমার তাহলে কেমন মেয়ে পছন্দ আমাদের বলো??...!!
"কেমন মেয়ে পছন্দ" প্রশ্নটা শুনেই আরশ আনমনা হয়ে যায়,, চোখের সামনে ভেসে উঠে নিহার মুখের ছবি,,, ওর দুষ্টুমি,, ওর কেয়ারিং সবকিছু আরশের চোখের সামনে ভাসতে থাকে... মুহৃর্তের মধ্যেই ৫বছর আগে চলে যায় আরশ...!!
--এই আরশ,, কোথায় হারিয়ে গেলে??...
পাপার ডাক শুনে কল্পনা কাটে আরশের... পাপাকে মুচকি একটা হাসি দিয়ে বলে-
--বললাম তো পাপা, তোমরা যা ভালো বুঝো তাই করো... আমার তেমন কোনো পছন্দ নেই...!!
--আমি জানতাম তুমি এটাই বলবে... এইজন্য আমি আগে থেকে সব ঠিক করে রেখেছি... ছবিটা দেখোতো  পছন্দ হয় কি'না?? (পকেট থেকে একটা ফটো আরশের দিকে বাড়িয়ে দিলেন মিঃ মেহরাব)
আরশ ফটোটা হাতে নিয়ে না দেখেই বলে-
--দেখতে হবেনা পাপা,, আমি জানি তোমার পছন্দ কখনোই খারাপ হতে পারেনা... তুমি আমার জন্য যেটাই করবে, ভালোর জন্যই করবে...!!
--আমার ছেলের মুখ থেকে এটাই এক্সেপ্ট করছিলাম,, মেয়েটা আসলেই অনেক সুন্দর,, অনার্স সেকেন্ড ইয়ারে পড়ে,, বিয়ের পর আমাদের এখানে থেকেই অনার্স কমপ্লিট করবে...!!
অনার্স সেকেন্ড ইয়ার কথাটা শুনে বুকটা ধুক করে উঠলো আরশের... হয়তো আরো একটা নিহা তার লাইফে আসতে চলেছে... হয়তো আরশের মতো অন্য কোনো আরশের চোখের পানিতে বালিশ ভিজিয়ে নির্ঘুম রাত কাটানোর সময় এসে গেছে... হয়তো...!!
.
পৃথিবীর হাজারো কোণায় এভাবেই চলছে হাজারো আরশ-নিহার গল্প... গল্পগুলো চলছে, চলবে... এভাবে চলতেই থাকবে...!!!  😊 😞 ✌

Thursday, August 24, 2017

প্রতারণা চিরকুটের ভালোবাসব



ইন্টার প্রথম বর্ষ শেষ করে আমি এখন দ্বিতীয় বর্ষে পদার্পণ করেছি। কলেজে কিছুদিন যাওয়ার পর একটা মেয়ে আমার চোখে পড়ে। মেয়েটা অনেক সুন্দর ছিলো। কিন্তু মেয়েটি আমার চোখে পড়ে তার পোশাকের কারণে। তখন শীতকাল ছিলো, মেয়েটি প্রথম যেদিন দেখি সেদিন মেয়েটি গোলাপি আর সাদা রঙের শীতের পোশাক পড়ে আসে। যার কারণে মেয়েটা অসম্ভব সুন্দর লাগছিলো। প্রথম দেখাতেই মেয়েটাকে আমাকে ভালো লেগে যায়। আস্তে আস্তে মেয়েটাকে ভালোবাসতেও শুরু করি। কিন্তু তখনও আমি জানতাম না, মেয়েটা কে? মেয়েটার নাম কি? কোথায় থাকে? বলতে গেলে মেয়েটাকে চিনা ছাড়া আর কিছুই জানি না।
.
কিছুদিন যাওয়ার পর আমি আনিলার মাধ্যমে মেয়ের সম্পর্কে জানতে পারলাম। মেয়েটার নাম মিতু, আমার থেকে এক বছরের জুনিয়র। ও হ্যাঁ, আনিলা হচ্ছে আমার বান্ধবী। ওর কাছে আমি আমার সবকিছু শেয়ার করতাম। যাকে বলে বেষ্টফ্রেন্ড বা অন্তরঙ্গ বন্ধু। তারপর কিছুদিন যেতে না যেতে আমি মিতুর সাথে পরিচয় করে নিলাম। এরপর কলেজে আসলে মাঝে মাঝে মিতুর সাথে কথা হতো। কিন্তু এভাবে কতদিন থাকা যায় আমি সিদ্ধান্ত নিলাম আমি মিতুকে আমার ভালোবাসার কথা জানাবো। পরেরদিন কলেজে গিয়ে মিতুকে দেখতে পেলাম। তারপর বললাম...
.
“মিতু”
“কি,”
“এদিকে আসো।”
“হুম, বলেন।”
“আসলে কিভাবে বলতে হয় আমার জানা নেই, শুধু বলতে চাই তোমাকে আমার ভালো লাগে। মানে আমি তোমাকে ভালোবাসি।”
“আমি আপনাকে ঘৃণা করি।”
.
মিতু কোনো কথা চিন্তা না করেই আমার সরাসরি বলে দিলো আমাকে ঘৃণা করে। এরপর আমি মিতুর সামনে থেকে চলে আসলাম। পরের দিন যখন কলেজে যাই মিতু আমার কাছে এসে আমাকে ছোট্ট একটা চিরকুট দিলো।
যেটাতে লেখা ছিলো, “সরি!” 
সরি লেখা দেখে আমি ওকে জিজ্ঞেস করলাম, “সরি কেন?” 
ও উত্তর দিলো, “আমি আপনাকে ঘৃণা করি না তাই।” 
এরপর কিছুদিন আর মিতুর সাথে কোনো কথাবার্তা হয়নি। কিন্তু আমার কিছু ভালো লাগতো না। তাই কিছুদিন পর আমি মিতুকে আবারও প্রপোজ করলাম। মিতু কোনো উত্তর দিলো না। আমি ওকে একসপ্তাহ সময় দিলাম। একসপ্তাহ পার হয়ে গেল, কিন্তু মিতু তখনও কোনো উত্তর জানালো না।
.
আমি বেশ কিছুদিন আর কলেজে যাইনি। একদিন আমার একটা ফ্রেন্ড আমাদের বাসায় এসে একটা চিরকটু দিলো। আমি ওকে জিজ্ঞেস করলাম, “এটা কে দিলো?” ও বললো, “মিতু তোকে দিতে বলেছে।” তারপর বন্ধুটা চলে গেল। আমি চিরকুটটা খুলে দেখলাম, চিরকুটে লেখা ছিলো...
.
“তৌহিদ,
আমি জানি যে, আপনি কেন কলেজে আসেন না! আপনার বান্ধবী সব বলেছে। আমি আপনাকে পছন্দ করি কিন্তু আপনাকে ভালোবাসা আমার পক্ষে সম্ভব না। কারণ বাড়ি থেকে জানলে খুব খারাপ হয়ে যাবে। তাই বলছি, আপনি আমাকে ছেড়ে দেন।
ইতি মিতু”
.
এরপর আমি কলেজে যাই আর সেদিন কলেজ থেকে ফেরার পর আমার বাবা আমাকে একটা থাপ্পড় দিলো। প্রথমে বুঝতে পারিনি বাবা কেন আমাকে থাপ্পড় দিলো? পরে বাবা বলে, মিতুর বাবা নাকি আমার নামে বাবার কাছে নালিশ দিয়েছেন। আমি বুঝতে পারলাম সব মিতুর কাজ। আমি ভেতর থেকে অনেক ভেঙ্গে পড়লাম। এরপর আমি আস্তে আস্তে মিতুকে ঘৃণা করতে শুরু করলাম। ওকে দূর থেকে দেখলে আমি আর ওর দিকে ফিরেও তাকাতাম না। তারপর একদিন আমার একটা বান্ধবী এসে আমাকে একটা চিরকুটট দিলো। যাতে লেখা ছিলো...
.
“তৌহিদ,
আমি জানি যে, আপনি ভাবতেছেন আমান বাবাকে আমি বলেছি। আসলে সবি আমার এক বান্ধবী বলেছে। ও আপনাকে পছন্দ করে। কিন্তু আপনি আমাকে ভালোবাসেন সেই হিংসায় ও এসব করেছে। কালকে আপনি কলেজের পিছনের দিকে আমার সাথে দেখা করে।
ইতি মিতু”
.
পরেরদিন ওর কথা মতো কলেজের পিছন দিকে আমি ওর সাথে দেখা করতে গেলাম...
“বলো, কেন ডেকেছো?”
“আমিও তোমাকে ভালোবাসি। আর হ্যাঁ, এটা কাউকে বলো না প্লিজ। বাসায় জানতে পারলে অনেক সমস্যা হবে।”
“ঠিক আছে, বলবো না।”
“আমার নাম্বারটা নাও। 016*** এটা আমার নাম্বার কল দিও। এখন যাই কেউ দেখলে আবার ঝামেলা বাঁধবে।”
.
মিতুর কাছ থেকে জবাবটা পেয়ে আমি খুশিতে নাচতে ইচ্ছে করছিলো। কিন্তু আমাদের প্রেমটা শুধু মোবাইলের কথা আর মেসেজের কথার মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিলো। কারণটা হচ্ছে যদি ওর বাবাকে কেউ বলে দেয়, বিশেষ করে ওর ঐ বান্ধবীটা যে আমাকে ভালোবাসে। তারপরও ওর আড়ালে আমাদের কথা হতো সামনাসামনি। আমাদের দিনগুলো বেশ ভালোই যাচ্ছিলো। দু’জনের শেয়ারিং, কেয়ারিং দিনে দিনে আমাদের ভালোবাসাটা বৃদ্ধি পাচ্ছে। কোনো কোনো সময় মনে হতো আমি ওকে ছাড়া একটা মুহূর্তও থাকতে পারবো না। একদিন ওর সাথে কথা বলার সময় বললাম...
.
“তুমি আমার জীবন থেকে কখনো হারিয়ে যাবে না তো?”
“ধুর পাগল, হারিয়ে যাবো কেন? হারিয়ে যেতে ভালোবেসেছি নাকি হুম।”
“জানো মাঝে মাঝে ভাবি যদি কখনো তোমাকে হারিয়ে ফেলি আমি তোমাকে ছাড়া কিভাবে থাকবো? মনে হয় যেন তুমি ছাড়া আমার পৃথিবীতে আর কেউ নেই শুধু তুমিই আছো।”
“তাই পাগল একটা, কখনো হারিয়ে যাবো না। তোমার বুকে স্থান করে নিয়েছি না। তোমার বুকেই থাকবো।”
“তাই, কিন্তু আমার বুকে তো এতো বড় জায়গা নেই তোমাকে রাখবো কিভাবে?”
“এই তুমি কি বুঝাতে চাচ্ছো বলো তো?”
“কই কিছু না তো।”
“কিছুু তো বুঝাতে চাচ্ছো, আমি মোটা এমন কিছু তো? নিশ্চয়..”
“আরে না, এমনিতে দুষ্টামি করতেছিলাম। তুমি তো আমার থেকেও চিকন।”
“জ্বি না! আমি এতটাও চিকন না।”
“তাহলে কেমন শুনি?”
“তোমার বুকে থাকার মতোই আমি।”
“তাই,”
“কেন কোনো সন্দেহ আছে?”
“না কোনো সন্দেহ নাই, আরও একটু চিকন হলে ভালো হতো আর কি?”
“কেন?”
“না, তেমন কিছু না। আরেকজনকে জায়গা দিতাম আর কি? ঐ যে তোমার বান্ধবীটাকে।”
“কি বললে তুমি?”
“কোথায় কিছু বলিনি তো।”
“একদম মেরে ফেলবো যদি আমার স্থানে অন্য কেউ আসে। তোমার বুকে শুধু আমি থাকবো আর কেউ না।”
“মেরো ফেললে যদি মরে যাই।”
“চুপ মরবে কেন?”
“তুমি মেরে ফেলবে বললে যে, এজন্য!”
“ধুর বোকা আমি কি মরার জন্য মারবো নাকি?”
“আমি বোকা?”
“হুম, বোকা! কিছুই বুঝো না।”
“তাহলে তুমি চালাক বানিয়ে দাও না।”
“না চালাক হতে হবে না। চালাক হলে দুষ্টু হয়ে যাবে।”
“দুষ্টু নাহয় একটু হলাম তাতে কি? তোমার দুষ্টুি তো হবো তাই না।”
“না না বাবা দরকার নেই।”
“তুমি তো দেখছি নানা, বাবা দু’জনকেই ডাকতেছো, ভূত দেখলে নাকি?”
“উফ্, তুমি না।”
“আমি কি?”
“তুমি ফাজিল একটা”
“তাই,”
“হুম, এই বাবা আসছে এখন পড়তে বসতে হবে। পরে কথা হবে বাই, বাই বাই বাবু, টেককেয়ার।”
“শুনো না..”
.
বলার আগেই কলটা কেটে দিলো। দেখতে দেখতে আমাদের সম্পর্কের একটা বছর হয়ে গেলো। আমারও এইচ এস সি পরিক্ষা শুরু হয়ে গেলো। পরিক্ষা শেষ হলো। মিতুও ইন্টার সেকেন্ড ইয়ারে উঠলো। রেজাল্ট প্রকাশের পর আমি একটা ভার্সিটি চান্স পেলাম। ভার্সিটি ভর্তি হওয়ার পর মিতু ইদানীং আমাকে খুব অবহেলা করছে। কিছু জিজ্ঞেস করলে না বায়না দেখায়। আস্তে আস্তে অবহেলার পরিমাণটা বেড়েই চলেছে মিতুর সাথে তেমন কথা হয় না। কারণ ওকে মেসেজ দিলে রিপ্লে করে না। কল দিলে কলও রিসিভ করে না। এখন একবারেই কমে গেছে। এখন আর অন্যকোনো বায়না দেখায় না শুধু একটাই বায়না দেখায় সেটা হচ্ছে সামনে পরিক্ষা রেজাল্ট ভালো করতে হবে তাই পড়ার অনেক চাপ পড়তে হয়।
.
মিতুর সাথে এখন আমার একদম যোগাযোগ বন্ধ কোনো কথাই হয় না। এক বন্ধুর সাথে দেখা হলে সে আমাকে বলে...
.
“কিরে তোর কি খবর?”
“এইতো ভালো, তোর কি অবস্থা?”
“ভালোই, মিতু তোকে ছ্যাঁকা ট্যাকা দিলো নাকি?”
“না তো, ও ছ্যাঁকা দিবে কেন?”
“তাহলে একটা ছেলের সাথে ঘুরে যে ছেলেটা কে?”
“কোন ছেলের সাথে ঘুরে?”
“চিনি না।”
“ওকে পরে কথা হবে।”
.
পরে খবর নিয়ে দেখলাম, মিতু শুভ নামের একটা ছেলের সাথে প্রেম করে। তারপর আমি মিতুর সাথে দেখা করলাম।
.
“শুভ ছেলেটা কে? তুমি নাকি ওর সাথে প্রেম করো?”
“হুম, যা শুনেছো, সব ঠিকই শুনেছো। আমি শুভকে ভালোবাসি। আমি তোমার সাথে এই সম্পর্ক রাখতে পারবো না।”
.
মিতুর কথা শুনে কি করবো বুঝতেছিলাম না। ওর কথা শুনে খুব কষ্ট পেলাম। অবশেষে আমি সিদ্ধান্ত নিলাম। এর প্রতিশোধ আমি নিবো। কিন্তু আমি যে ওকে ভালোবাসি আমার বিবেক আমাকে বাধা দিলো। আমি পারিনি ওর কোনো ক্ষতি করতে। আমাকে ছাড়া যদি ও সুখে থাকে তাহলে থাকুক না। আমি নাহয় ভালোবেসে কষ্টটুকুই পেলাম। ও সুখে থাকলেই আমি খুশি।
.
Moral: এমন মেয়েগুলোর না শুধু মেয়ে না এমন অনেক ছেলে ও মেয়েগুলোর প্রতারণার কারণে এমন অনেকের সুন্দর স্বপ্নগুলো ভেঙ্গে যায়। আর কেউ কেউ ভালোবাসার কষ্ট সহ্য করতে না পেরে প্রতিশোধ নেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। যেটা শুধু সাময়িক প্রশান্তি মাত্র বই আর কিছু নয়।

Tuesday, August 22, 2017

অনন্যা নামটা রোহানের কাছে অনেক প্রিয়।

রোহানের আজ মন খারাপ!
কোন কথা বার্তা নেই হঠাৎ করেই রোহানের বাবা
ওর
বিয়ে ঠিক করে ফেলছেন। রোহানের সেই
ছোট বেলা
থেকে কত স্বপ্ন অনন্যা নামের কোন মেয়ে
সাথে প্রেম
করে বিয়ে করবে। অনন্যা নামটা রোহানের
কাছে অনেক
প্রিয়।কিন্তু কি আর করা যাবে অনন্যা নামের কোন
মেয়ে হয়তো রোহানের কপালে নেই । আর
রোহানের
বাবা উনি খুব রাগি মানুষ যা বলেন তাই করেন। উনার কথা
অমান্য করার মত সাহস রোহানদের পরিবারের
কারোরি
নেই। রোহানের কিছুদিন হল লেখাপড়া শেষ
হয়েছে ।
এখনো কোন জব টব পায়নি। আপাতত রোহান
একটা
কোচিং এ পড়ায় এটা দিয়েই কোন রকম ভাবে চলে
যায়
ওর। রোহানের বাবা রোহান কে শহর থেকে
গ্রামে
আনছেন মিথ্যা কথা বলে। রোহানের বাবাও ভাল
করে
জানেন সত্যিটা বললে রোহান কখনোই আসতো
না।
অতঃপর....
রোহান ওর রুমে একা বসে আছে ইতিমধ্যেই
রোহানের
ছোটবোন প্রত্যাশার আগমন গঠলো রোহানের
রুমে...
< আচ্ছা প্রত্যাশা তুই কি ঐ মহিলার নাম টা জানিস ?
( রোহান)
< কোন মহিলার কথা বলতেছো ভাইয়া?( প্রত্যাশা)
< ঐ যে মহিলা টা । (রোহান)
< আরে ভাইয়া কোন মহিলার কথা বলতেছো আমি
তো
কিছুই বুঝতেছি না? ( প্রত্যাশা )
< আরে ঐ যে যার সাথে আমার বিয়ে ঠিক করছে
আব্বা।
< ও তাই বলো, তো ভাইয়া ঐ
মহিলার নাম দিয়ে তুমি কি করবা...?( প্রত্যাশা)
< আরে কোথাকার কোন মেয়েকে বিয়ে
করবো আমি তা
জানতে হবে না আমার?( রোহান)
< হইছে তোমার না জানলেও চলবে, যা জানার
আব্বাই
জানে। আমি শুধু শুনছি ভাবি নাকি
পর্দানশীন মহিলা।(প্রত্যাশা)
< বিয়ে করার আগেই তোর ভাবি হয়েগেছে..?
(রোহান)
< হুম আজ হোক আর কাল হোক ঐ মহিলাকে
তো ভাবি বলে ডাকতেই হবে। (রোহান)
< ঐ যা ভাগ এইখান থাইক্যা তোর ভাবি
ডাকতে হবে না । (রোহান)
< হুম ঐ টা কাল - ই বুঝা যাবে ভাইয়া ( প্রত্যাশা )
< ঐ তোরে যাইতে কইছি না?? যা এইখান থাইক্যা ।
রোহান কি করবে ও বুঝতে পারছেনা। ছোট
বেলা থেকেই
রোহান কত স্বপ্ন দেখেছে ও অনন্যা নামের
কোন মেয়ের
সাথে প্রেম করবে কিন্তু তা আর হয়নি কখনো।
তারপর
রোহান চিন্তা করলো প্রেম করতে পারিনি তো
কি
হইছে ?? অনন্যা নামের কোন মেয়ে কে
বিয়ে তো করতে
পারবো। কিন্তু এখন দেখছি অনন্যা নামের কোন
মেয়ে
কে বিয়ে করাটাও হলো না। এখন রোহানের
বিরহের গান
শুনা ছাড়া আর কোন কিছু করার নেই । দেখতে
দেখতে
বিয়েটা হয়ে গেল। এখন বাসর ঘরে প্রবেশের
পালা.....
রোহানের বাসর ঘরে ডুকতে ইচ্ছা করছেনা । কি
আর করা
যাবে? বাসর ঘরে তো যেতেই হবে ঐ দিকে
আবার বউ
বসে আছে রোহানের অপেক্ষায় ...
অতঃপর রোহান বাসর ঘরে প্রবেশ করলো। তখন
বউ এসে
রোহান কে সালাম করলো এবং বললো চলেন
নামাজ টা
পড়ে নেই। রোহান বলল আমার পড়ার ইচ্ছা নাই
আপনি
পড়ে নেন।
<আচ্ছা আপনি আমায় আপনি করে বলতেছেন
কেনো.....?
( বউ)
< তো কি করে বলবো আপনাকে...? (রোহান)
< নিজের বউ কে কেউ আপনি করে বলে..?
(রোহান)
< ওহ! প্রথম প্রথম তো তাই এমন হচ্ছে ২য় বারে
ঠিক হয়ে
যাবে।(রোহান)
< ২য় বারে ঠিক হয়ে যাবে মানে ! (বউ)
< কিছুনা আপনি বলেন কি বলতে হবে
আপনাকে ???
(রোহান)
< নাম ধরে এবং তুমি বলে বলতে হবে। (বউ)
< ওকে কিন্তু আমি তো তোমার নাম জানিনা.?
< ওকে এটা কোন ব্যাপার না আমি অনন্যা এখন মনে
থাকবে তো????(বউ)
< এই তুমি সত্যি বলতেছো!!! তোমার নাম অনন্যা
..????
(রোহান)
< হুম মিথ্যা বলবো কেনো?? এটা শুনেই রোহান
অনন্যা কে
জড়িয়ে ধরলো,আজ রোহানের মনে হচ্ছে
আল্লাহ
তায়ালা মনে হয় রোহানের মনের কথা শুনছেন
এতদিন পর।
রোহান আরো শক্ত করে অনন্যা কে জড়িয়ে
ধরলো হঠাৎ
রোহানের ফোনটা বেজে উঠলো...........
..............
অতঃপর......
কি হলো অনন্যা কই গেলো.!!!!? আর অনন্যার
যায়গায় এই
বালিশ টা কইথাইক্যা আসলো আমি তো কিছুই বুঝতে
পারছি না!!!!
অতঃপর বুঝতে পারলাম বিষয়টা, হে আল্লাহ তুমি আমার
মনের কথা শুনতে পাইয়্যাও অনন্যার যায়গায় বালিশ ধরাই
দিলা.....???

Sunday, August 20, 2017

বিবাহিত অথবা অবিবাহিত, সবার পড়া উচিৎ। (সংগ্রহিত)




এক রাতে কাজ শেষে বাসায় ফেরার পর আমার
স্ত্রি প্রতিদিনের মত আমাকে নিয়ে রাতের খাবার
খেতে বসলো। তখন আমি তার হাতটি জড়িয়ে ধরলাম
এবং বললাম, "আমি তোমাকে কিছু কথা বলতে চাই।"
সে আমার চোখের দিকে শান্ত ভাবে তাকালো...
আমি বুঝতে পারছিলাম
না যে তাকে আমি কথাগুলো কিভাবে বলবো। কিন্তু
তাকে আমার জানানো উচিৎ যে, আমি তার সাথে আর
সংসার করতে চাই না। আমি খুব ধীরে,
শান্তভাবে বিষয়টি তুললাম। সে আমার কথায়
কোনরকম বিরক্ত প্রকাশ
না করে ধীরে ধীরে জিজ্ঞেস করল, "কেন?"
আমি তার প্রশ্ন এড়িয়ে গেলাম। এতে সে রেগে গেলো।
টেবিলের উপর থেকে সবকিছু ছুড়ে ফেলে দিয়ে চিৎকার
করে বললো, "তুমি একটা কাপুরুষ।" সেই রাতে আমাদের
আর কথা হল না। সে সারা রাত নিঃশব্দে কাঁদলো।
হয়তো ও বুঝার চেষ্টা করছিল কেন
আমি এমনটা চাইলাম। কিন্তু
আমি তাকে বলতে পারিনি যে, আমি আর
একটা মেয়েকে ভালোবেসে ফেলেছি।
আমি নিজেকে খুব অপরাধী মনে করেছিলাম, আর ঐ
অপরাধবোধ নিয়েই আমি ডিভোর্স লেটার লিখলাম,
যেখানে উল্লেখ ছিল, আমাদের বাড়ি, আমাদের গাড়ি,
এবং আমার ব্যবসায়ের ৩০% এর মালিক সে হবে। তার
হাতে কাগজটি যাওয়ার
সাথে সাথে ছিঁড়ে টুকরা টুকরা করে ফেললো।
যে মানুষটার সাথে আমি ১০ টা বছর সংসার করলাম,
আজকে আমি তাকেই আর চিনি না। তার এতগুল সময়,
সম্পদ, এবং শক্তি নষ্ট করার জন্য আমার খুব খারাপ
লাগছিলো, কিন্তু এখন আমি আর তাকে ফেরত
নিতে পারবো না কারণ, আমি ফারহানা কে
ভালোবাসি।
অবশেষে সে আমার সামনে চিৎকার
করে কান্না করে দিল, যা আমি আশা করছিলাম। আমার
কাছে তার কান্না একরকম মুত্তির চিহ্নের মত
লাগছিল। তখন মনে হচ্ছিল, এবার আমি আসলেও
সফল।
পরের দিন, আমি অনেক দেরী করে বাসায় ফিরি।
দরজায় ঢুকতেই দেখি, ও ডাইনিং রুমে টেবিলে কিছু
লিখছিল। আমি আর খাবার খেতে গেলাম
না এবং সরাসরি ঘুমাতে চলে গেলাম, কারণ সারাদিন
ফারহানাকে নিয়ে অনেক ঘুরেছি এবং এখন
আমি ক্লান্ত। আমি ঘুমিয়ে গেলাম। যখন আমার ঘুম
ভাঙ্গলো, তখনো ও লিখছিল। আমি গ্রাহ্য করলাম
না এবং আবার ঘুমিয়ে পরলাম।
সকালে সে আমাকে কিছু শর্ত দিল, যেখানে লেখা
ছিল,
"আমি তোমার থেকে কিছুই চাইনা, কিন্তু
আলাদা হয়ে যাওয়ার আগে শুধু এক মাস সময় চাই। এই
একমাসে আমরা জতটুকু সম্ভব স্বাভাবিক জীবন জাপন
করবো, কারণ আর একমাস বাদেই আমাদের ছেলেটার
পরীক্ষা। ওর যাতে কোন ক্ষতি না হয় তাই
আমি এমনটা চাইছি।"
আমি মেনে নিলাম। কিন্তু সে আমার কাছে আরও কিছু
চেয়েছিল... ও আমাকে মনে করতে বললো, বিয়ের দিন
আমি তাকে যেভাবে কোলে করে নিয়ে ঘরে ঢুকে
ছিলাম।
ও আমাকে অনুরোধ করলো, যাতে এই একমাস
আমি তাকে প্রতি সকালে কোলে করে আমাদের শোবার
ঘর থেকে বাইরের দরজা পর্যন্ত নিয়ে যাই।
আমি ভাবলাম, ও পাগল হয়ে গেছে। যাই হোক, এই শেষ
সময়ে যাতে আর ঝামেলা না হয়, তাই আমি তার অনুরোধ
মেনে নিলাম।
আমি ফারহানাকে আমার স্ত্রির দেয়া শর্তগুলোর
কথা বলেছিলাম। শুনার পর সে অট্ট
হাসিতে ফেটে পড়লো, যা খুবই অযৌক্তিক
লাগলো আমার কাছে। তখন ফারহানা আমার স্ত্রির
উপর ঘৃণা এবং রাগ নিয়ে বললো, "সে যতই
ছলনা করুক আর মায়া কান্না দেখাক, তাকে ডিভোর্স
নিতেই হবে।"
আমাদের বিবাহবিচ্ছেদের উদ্দেশ্য স্পস্টভাবে প্রকাশ
হওয়ার পর থেকে আমার স্ত্রি এবং আমার মধ্যে আর
কোন শরীরী যোগাযোগ ছিল না। যাই হোক, যেদিন
আমি প্রথম তাকে কোলে তুললাম, তখন আমরা দুজনেই
খুব বিব্রতবোধ করছিলাম। আমাদের ছেলেটা পেছন
থেকে তালি বাজাচ্ছিল আর বলছিল, "আব্বু
আম্মুকে কোলে তুলেছে, কি মজা কি মজা।" ছেলেটার
কথা শুনে কেন জেন আমার খারাপ লাগতে শুরু করলো।
শোবার ঘর থেকে ড্রইংরুম, ড্রইংরুম থেকে বাইরের
দরজা পর্যন্ত আমি ওকে কোলে করে নিয় গেলাম।
সে তার চোখ বন্ধ করলো এবং ফিস ফিস করে বললো,
"আমাদের ছেলেটাকে আমাদের ডিভোর্সের কথাটা
কখনও
জানতে দিওনা।" আমি ওকে দরজার
বাইরে নামিয়ে দিলাম। সে তার কাজে চলে গেল, আর
আমি অফিসে চলে গেলাম।
দ্বিতীয় দিন, আমরা দুজনেই খুব স্বাভাবিক আচরন
করলাম। সে আমার বুকে মাথা রাখলো। আমি তার চুলের
গন্ধ পাচ্ছিলাম। আমার মনে হল, আমি কতদিন এই
মানুষটাকে একটু ভালোভাবে দেখিনি, বুঝার
চেষ্টা করিনি। দেখলাম, ওর কত বয়স হয়ে গেছে।
চেহারায় বয়সের ছাপ পড়ে গেছে... চুলে কাঁচাপাকা রঙ
ধরেছে। কিছু মুহূর্তের জন্য মনে হল আমি তার
সাথে কি করেছি।
চতুর্থ দিন, যখন আমি তাকে কোলে তুললাম, তখন
বুঝতে পারলাম আবার আমাদের অন্তরঙ্গতা ফিরে
আসছে।
এটাই সেই মানুষ, যে তার জীবনের ১০ টা বছর আমার
সাথে পার করেছে। পঞ্চম এবং ষষ্ঠ দিন আমার
আবারো মনে হল যে, আমাদের সম্পর্কটা আবার
বেড়ে উঠছে। আমি এসব বিষয়ে ফারহানাকে কিছুই
বলিনি।
যতই দিন যাচ্ছিল, ততই খুব সহজে আমি আমার
স্ত্রিকে কোলে তুলতে পারতাম। সম্ভবত, প্রতিদিন
কোলে নিতে নিতে অভ্যাস হয়ে গিয়েছিল। একদিন
সকালে বাইরে যাওয়ার জন্য সে পছন্দের কাপড়
খুঁজছিল। প্রায় অনেকগুলো কাপড় সে পরে দেখল,
কিন্তু একটাও তার ভালো লাগছিলো না। সে স্থির
হয়ে বসলো এবং দীর্ঘনিঃশ্বাস ছেড়ে বললও, "আমার
সব গুলো কাপড় ঢিলে হয়ে গেছে...।" তখন
আমি বুঝতে পারলাম সে অনেক শুকিয়ে গেছে এবং এ
জন্যই আমি তাকে খুব সহজে কোলে তুলতে পারতাম।
হঠাৎ এটা আমাকে খুব আঘাত করলো... সে তার
মনে অনেক কষ্ট চাপা দিয়ে রেখেছে। মনের অজান্তেই
আমি আমি ওর কাছে যাই এবং ওর মাথায় হাত দেই। ঐ
মুহূর্তে আমাদের ছেলেটাও চলে এল এবং বললও, "আব্বু,
আম্মুকে কোলে তুলার সময় হয়েছে।" আমার
স্ত্রি ছেলেটাকে ইশারায় কাছে আসতে বলল
এবং তাকে কিছুক্ষণের জন্য খুব শক্ত
করে জড়িয়ে ধরল। আমি অন্য দিকে তাকালাম, কারণ
আমার ভয় হচ্ছিল, এই শেষ মুহূর্তে জেন আমার
সিদ্ধান্ত পরিবর্তন না হয়ে যায়। কিছুক্ষণ পর
আমি তাকে কোলে নিলাম। শোবার ঘর থেকে ড্রইং রুম,
ড্রইং রুম থেকে বাইরের দরজা পর্যন্ত
তাকে নিয়ে গেলাম। সে তার হাত
দিয়ে আলতো ভাবে আমার গলা জড়িয়ে ছিল। আমিও
তাকে খুব হাল্কাভাবে কোলে নিয়ে ছিলাম... ঠিক
জেন
বিয়ের প্রথম দিনের মত।
কিন্তু তার এই এত হাল্কা ওজন আমাকে অনেক কষ্ট
দিয়েছিল... প্রায় অনেক আগে যেদিন
আমি তাকে কোলে নিয়েছিলাম, সেদিন
তাকে নিয়ে কিছু দূর হাটতেই আমার অনেক কষ্ট
হচ্ছিলো। আমাদের ছেলেটা স্কুলে চলে গেছে।
আমি আমার স্ত্রিকে শক্ত করে জড়িয়ে ধরে বললাম,
আমি বুঝতে পারিনি যে, আমাদের
মধ্যে এতটা অন্তরঙ্গের অভাব ছিল। এ কথা বলেই
আমি অফিসে চলে গেলাম। অফিস থেকে ছুটি নিয়েই
বেরিয়ে গেলাম। চলে গেলাম সোজা ফারহানার
বাসায়।
সিঁড়ি বেয়ে দ্রুত উপরে উঠে গেলাম। আমি খুব
তাড়াহুড়ো করছিলাম, ভয় পাচ্ছিলাম যাতে আমার মন
আবার পরিবর্তন হয়ে যায়। ফারহানা দরজা খুলতেই
আমি তাকে বললাম, "ফারহানা, আমাকে মাফ করে
দিও...
আমি আমার স্ত্রির সাথে ডিভোর্স চাইনা।"
ফারহানা আমার দিকে খুব অবাক হয়ে তাকাল এবং
আমার
কপালে হাত দিয়ে জিজ্ঞেস করলো, "আচ্ছা তুমি ঠিক
আছো তো?? তোমার কি জ্বর আসছে??" আমি ওর হাত
আমার কপাল থেকে সরালাম এবং আবারো বললাম,
"ফারহানা, আমি ওকে ডিভোর্স দিতে চাই না।
তুমি পারলে আমাকে মাফ করে দিও। আমাদের
বৈবাহিক
সম্পর্কটা হয়তো বিরক্তিকর ছিল, কারণ
আমরা আমাদের জীবনের ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র মুহূর্ত
গুলোকে মুল্য দেইনি, কিন্তু এর মানে এই
না যে আমরা কখনো একে অপরকে ভালোবাসিনি।
কিন্তু এখন আমি বুঝি যে, যেদিন
আমি তাকে বিয়ে করেছিলাম, সেদিন
আমি প্রতিজ্ঞা করেছিলাম, যে মৃত্যু পর্যন্ত
আমি তার সাথে থাকবো।" তখন ফারহানা আমাকে খুব
জোরে একটা চড় মারলো এবং আমার মুখের উপর
দরজা লাগিয়ে দিয়ে ভেতরে চিৎকার করে কান্নায়
ভেঙে পড়লো। আমি বাসার নিচে নেমে এলাম
এবং চলে আসলাম। পথেই একটা ফুলের দোকান পেলাম
এবং একটা ফুলের তোড়া কিনলাম আমার স্ত্রির জন্য।
আমাকে দোকানদার জিজ্ঞেস করলো, "স্যার কার্ডের
উপর কি লিখবো?" আমি একটু মৃদু হাসলাম
এবং লিখতে বললাম, "আমি প্রতিদিন
সকালে তোমাকে কোলে নিব... আমার মৃত্যু পর্যন্ত"
ঐ দিন সন্ধ্যায় আমি বাসায় ফিরি, আমার হাতে ফুলের
তোড়া, আমার চেহারায় সুখের হাসি, আমি সোজা
আমার
শোবার ঘরে চলে যায় এবং দেখি আমার স্ত্রি আর
নেই। সে আমাকে ছেড়ে চলে গেছে... সারা জীবনের
জন্য
চলে গেছে... যেখান থেকে আর কখনো ফেরা সম্ভব না।
আমার স্ত্রির ক্যান্সার ছিল, অথচ
আমি ফারহানাকে নিয়ে এতটাই ব্যস্ত ছিলাম যে,
এদিকে কোন খেয়ালই করিনি।
সে জানতো যে সা মারা যাচ্ছে... কিন্তু
সে আমাকে বুঝতে দেয়নি, কারণ আমাদের ছেলের
পরীক্ষা ছিল এবং আমাদের ডিভোর্স
হয়েছে এটা জানলে আমাদের ছেলেটার মন-
মানষিকতা নষ্ট হয়ে যেতে পারে।
সে মারা গেলে আমাদের আর
আলাদা হয়ে বেঁচে থাকতে হবে না। সে আমার ছেলের
কাছে প্রমান করে দিয়ে গেল, আমি খুব
ভালো স্বামী ছিলাম, যে তার স্ত্রির অনেক খেয়াল
করতো।
সম্পর্কের এই ছোট ছোট ব্যাপারগুলো আসলেও অনেক
গুরুত্বপূর্ণ। এই বড় রাজপ্রাসাদ, গাড়ি, সম্পত্তি,
টাকা এগুলো সব কিছুই ভালো থাকার পরিবেশ
তৈরি করে কিন্তু নিজেরা কোন সুখ দিতে পারে না।
তাই কিছু সময় বের করুন আপনার স্বামী বা স্ত্রির
জন্য। তার বন্ধু হন। এবং কিছু কিছু ছোট ছোট
মুহূর্ত তৈরি করুন যা আপনাদের সম্পর্ককে আরও
কাছের করবে। কারণ, এটাই সত্য "পরিবার
পৃথিবীতে সব চাইতে দামি।" আপনি যদি এখন কোন
সম্পর্কতে নাও থাকেন, তারপরেও দ্বিতীয় বারের মত
অথবা তার চাইতেও বেশী চিন্তা করুন, কারণ
এখনো দেরী হয়ে যায় নি... এখনো অনেক সময় আছে।

আপনি যদি এই পোস্টটি না শেয়ার করেন,
তাতে কোনই সমস্যা নেই।
কিন্তু যদি শেয়ার করেন,
তাহলে হয়তো আপনি একটি সম্পর্ক আবার
জোড়া লাগাতে পারেন। জীবনে অনেক মানুষই
বুঝতে পারে না যে, তারা সফলতার কত কাছাকাছি
আছে।
collected

Saturday, August 19, 2017

আম্মু আছে বাসায় তোর ঠ্যাং ভেঙে হাতে ধরাই দিবে ওহহহ শাশুড়িটা এমন ভীলেন টাইপের কেন গো...

#টক_ঝাল_ভালোবাসা
তিশি...
- হুম শুনছি বলো...
- আই লাআআআআআআভভভ ইউ এত্ত গুলা...
- হ্যা জানি তো... তা এই ভর দুপুরে এমন তেল
দেয়ার কারণ কি শুনি...
- কোন কারণ নাই তো...
- কোন কারণ নাই এটা বললেও আমি বিশ্বাস করতে
পারছিনা ...
- কেন পারছো না??সত্যিইই আই লাআআআআভভভভ
ইউ এত্তগুলা......
- হু... আমি তো গাধী না ... অন্যসময় তো হাজার
বার বলতে বললেও তোর মুখ দিয়ে এই তিনটা
ওয়ার্ড বের হয়না আর এখন সেধে সেধে তাও
দুই বার বললি ... তোর মতলবটা কি শুনি?
- বিশ্বাস করো তিশি আমার কোন মতলব নাই... আমি
সত্যিইইই তোমাকে এত্তগুলা ভালোবাসি...
- তুই বলবি নাকি আমি ফোন রাখবো??
- এমন করো কেন তুমি সবসময়?...
- হু কি বলবি তাড়াতাড়ি বল...
- এভাবে ধমকালে কিন্তু বলবো না হুহ...
- ওলে বাবা ... না বললি যা ভাগ...
- সত্যি যাবো তো?...
- কই যাবি??
- তোমার কাছে...
- আম্মু আছে বাসায় তোর ঠ্যাং ভেঙে হাতে ধরাই
দিবে...
- ওহহহ শাশুড়িটা এমন ভীলেন টাইপের কেন
গো...
- কি বললি??- কিছুনা...


Like share followers page and subscribe my YouTube channel 

YouTube- https://www.youtube.com/channel/UCfe8n5UGJfqkCNijyYrvHLg/feed

Page- https://www.facebook.com/shimunrube/

Blogger- https://shimunrubel.blogspot.com/?m=1

Love story- https://m.facebook.com/lovestorybangli/


- আচ্ছা শোনো না...
- হ্যা শুনছি আপনি বলেন...
- খুব ক্ষুধা লাগছে।কিন্তু মেসের মিল খাইতে ইচ্ছা
করতেছে না...
- হোটেলে থেকে খেয়ে আসো...
- উহু... যদি পেট খারাপ হয়??
- সেই ভয়ে কি না খেয়ে থাকবে নাকি??ট্রাই
তোহ করো...
- নাহ রিস্ক নিতে চাইনা... আর ব্যাটারা না জানি কিভাবে
রান্না করে... তুমি একটু বুঝার চেষ্টা করো...
- কি বুঝবো?
- তুমি তো অনেক ভালো বিরিয়ানি রান্না করতে
পারো...
- তোহ!?
- আজকে একটু পর কোচিং এ ক্লাস নিতে যাবে
না ??
- হ্যা যাবো...
- হাতে তো এখনো দুইঘন্টা সময় আছে
তোমার....
- হ্যা আছে... তো??
- আর কোচিং সেন্টারটা আমাদের মেস পার হয়ে
যাইতে হয়...
- হ্যা কোচিং সেন্টারে যাওয়ার রাস্তা আমি চিনি... গত
আটমাস ধরে সেইখানে আসা-যাওয়া করছি।
- তো বলছিলাম আর কি ...
- কি বলছিলা??
- আই লাভ ইউ...
- ঘুষ দিয়ে লাভ নাই এখন আমি কারোর জন্য হাত
পুড়িয়ে রান্না করতে যেতে পারবো না ...
- ওহহহহ...
- হ্যা...
- কি করো তুমি??
- কিছুনা ফোন রাখো...
- কেন??
- দেখি ফ্রিজে মাংস আছে কিনা... নয়তো কেউ
আবার মুখ ফুলিয়ে না খেয়ে শুয়ে থাকবে.........
- তিশিইইইই.........
- হুম...
- আই লাভ ইউ .........
- আমি ঘুষ নেইনা ...
- হাহা কিন্তু আমি ঘুষ দেই...
- শয়তানি বাদ দিয়ে গোসল করে
আসো....নয়তো দেখা হলে খামচি খাবে।ছোট
নখ দিয়েও কিন্তু খামচি দেয়া যায় বুঝছো
বাবুটা???.....

#Bristi_patuiary

Friday, August 18, 2017

হাসপাতালে ডাক্তার রিয়ার ইতস্তত ভাব দেখেই আসল বিষয়টা বুঝে গেল

‘মা হতে যাচ্ছি’ রিয়ার মুখে কথাটা শুনে
মুখটা বিকৃত হয় জামিলের। রাগ করে বলল
‘এটা তো কোন কাজের কথা হলো না। ঔষধ
খাও নি।’
রিয়া অন্যদিকে তাকিয়ে রইল। বলল, ‘ভুলে
গিয়েছিলাম।’
জামিল বলল, ‘এবার ঝামেলা বোঝো। কত
দৌড়াদৌড়ি করতে হবে বুঝতে পারছ?’
‘কী দৌড়াদোড়ি?’ রিয়া অবাক হয়ে
জিজ্ঞেস করল।
‘ক্লিনিকে যেতে হবে। জিনিসটা ফেলে
দিতে হবে।’
‘জিনিসটা না বাচ্চাটা?’
‘তুমি এই বিষয় নিয়ে খুব ইমোশনাল হয়ে পড়েছ
নাকি?’ জামিল ভুরু কুঁচকে তাকাল।
‘নাহ এমন কিছু না।’
‘ক্লিনিকে আমি দৌড়াতে পারব না। নিজের
কাজ নিজে সারবে।’ জামিল বলল।
‘ও আচ্ছা। রুম ডেটে অবশ্য তুমি নিজ উদ্যোগে
নিতে পেরেছিলে।’ রিয়া মনে করিয়ে দিল।
‘হ্যাঁ। এখন তো সব দোষ আমার।’ জামিলের
গলাটা কঠোর শোনায়। ‘আজকেই ডাক্তারের
কাছে যাবে। এই ঝামেলার কথা আর শুনতে
চাই না।’
রিয়া হাসল। বলল, ‘আমাদের অপরাধের
শাস্তি একটা নতুন জীবন পেতে পারে না।’
জামিল চোখ লাল করে বলল, ‘তাহলে কী
করতে চাও?’
রিয়া বলল, ‘ওকে বাঁচিয়ে রাখব।’
জামিল হাতে তালি দিয়ে বলল, ‘বাহ! দারুণ
বুদ্ধি। কিন্তু কোন পরিচয়ে বেড়ে উঠবে সে?’
‘তুমি বিয়ে করবে আমাকে। এরপর তোমার
আমার পরিচয়ে বেড়ে উঠবে।’
‘পাগল নাকি! আপাতত ৪/৫ বছরে বিয়ের
পরিকল্পনা নেই আমার।’ স্পষ্ট জানিয়ে দিল
জামিল।
‘আমি খুন করতে পারব না জামিল।’ কান্নাটা
সামলানোর চেষ্টা করল রিয়া।
‘একটা ঔষধ খেলে এতো ঝামেলা হতো না।’
জামিলের গলায় একটু নরম শোনায়। রিয়ার
চুলগুলো সরিয়ে মাথায় একটু হাত বুলিয়ে বলল,
‘আমাদের দু’জনের ভালোর জন্য ঝামেলাটা
ফেলে দিতে হবে রিয়া। প্লিজ বোঝার
চেষ্টা করো।’ রিয়া মাথা নাড়ায়। তার
কান্নার গতি বাড়তে থাকে।
হাসপাতালে ডাক্তার রিয়ার ইতস্তত ভাব
দেখেই আসল বিষয়টা বুঝে গেল। বলল,
‘আপনারা কেন যে এমন ভুলগুলো করেন? যা
হোক, না চাইলেও অপ্রিয় কাজটা আমাদের
নিয়মিত করতে হয়।’
রিয়া বলল, ‘আপা।’
‘জি বলুন।’ ডাক্তার বলল।
‘আমি ওকে হত্যা করতে আসি নি। আমি
জানতে এসেছি ও ভালো আছে কি না।’
ডাক্তার অবাক হয়ে তাকিয়ে রইল।
রিয়া দৃঢ় কন্ঠে বলল, ‘আমি ওকে বাঁচাব আপা।
ও আমার পরিচয়ে বাঁচবে। আর মরতে যদি হয়
দু’জনে একসাথেই মরব।’
রিয়া ঠিক জানে না তাকে কী করতে হবে।
তার মুখে থুতু জমেছে। সে শুধু জানে
জামিলের মুখে এক দলা থুতু দেওয়া খুব
প্রয়োজন। আর বাচ্চাটাকে বাঁচিয়ে রাখার
জন্য শেষ রক্তবিন্দু দিয়ে চেষ্টা করতে হবে
তাকে।
.
#Noman

একটা মেয়ে কনুই দিয়ে আমার মুখে সজোরে গুঁতো দিল। আমি ব্যথায় চিৎকার করলাম।

সকাল থেকেই মেজাজটা খারাপ। আজ
নির্ঘাত দিনটা খারাপ যাবে। ঘুম ঘুম চোখে
সকালে ব্রাশ করতে গিয়েই প্রথম বিপত্তিটা
ঘটিয়েছি। শেভিং ক্রিমকে টুথপেস্ট ভেবে
ভুল করেছি। শেভিং ক্রিম দিয়ে কিছুক্ষণ
ব্রাশ করার পর মনে হচ্ছে, একগাদা কচি ঘাস
চিবিয়েছি। এখন নিজেকে ছাগল ছাগল মনে
হচ্ছে। কিছু না খেয়েই অফিসের দিকে রওনা
হলাম। শেভিং ক্রিম খাওয়ার পর আর অন্য
কিছু খাওয়ার ইচ্ছা নেই।
বাসে উঠে দেখলাম, সিট খালি নেই।
দাঁড়িয়ে যেতে হবে। দিনটা খারাপ যাবে_
এটা প্রমাণ করার জন্যই হয়তো একটা মেয়ে
কনুই দিয়ে আমার মুখে সজোরে গুঁতো দিল।
আমি ব্যথায় চিৎকার করলাম। মেয়েটা
বিব্রতমুখে বলল, 'সরি। ব্যথা পেয়েছেন?'
মেয়েটার কোমল গলা শুনে নিজেকে সামলে
নিলাম। মনে হচ্ছে, একটা দাঁত নড়ে গেছে।
সেই অবস্থায় হাসার চেষ্টা করে বললাম,
'নাহ। একদম ব্যথা পাইনি।'
অফিসে ঢুকেই আরেক বিপত্তি। বস আজকে
আমার আগে অফিসে এসেছেন এবং আমাকে
খুঁজে গেছেন। প্রতিদিন সময়মতো অফিসে
আসি। আজ একটু দেরি করলাম, আর আজই বস
আমার আগে অফিসে এসেছেন। এ জন্যই
সবসময় নিজেকে অভাগা মনে হয়। আমি
যেদিকে চাই, নর্দমাও শুকিয়ে যায়। অফিসে
এসে ডেস্কে ব্যাগটা রেখেই বসের রুমে
ছুটলাম।
বস আজ অস্বাভাবিক গম্ভীর। আমাকে
অবজ্ঞা করে নানা কাজ করতে লাগলেন।
আমি দীর্ঘক্ষণ বসে রইলাম। হঠাৎ বস আমাকে
চমকে দিয়ে বললেন, 'তুমি ইদানীং কী নিয়ে
ব্যস্ত?'
কী উত্তর দেব বুঝতে পারলাম না। মাথা
চুলকে বললাম, 'বস নতুন প্রজেক্টটা নিয়েই
বেশি ব্যস্ত।'
'আমি অফিসের কথা বলছি না। অফিসের
বাইরে কী নিয়ে ব্যস্ত?'
বুঝতে পারলাম না, বস কী জিজ্ঞেস করছেন।
তাই চুপচাপ বসে রইলাম।
বস আবার বললেন, 'তুমি তো ফেসবুকে খুব
অ্যাক্টিভ, না?'
কেমন যেন অন্যরকম গলায় কথাগুলো বললেন
বস। আমি কি ফেসবুকে কোনো ভুল করেছি?
মাঝে মাঝে দেশ-কাল-সমাজের কথা চিন্তা
করে বিভিন্ন স্ট্যাটাস দিই। সেই স্ট্যাটাস
দেখে কি বস রাগ করেছেন? কোনো
স্ট্যাটাস কি তাকে ত্রুক্রদ্ধ করেছে? নানা
চিন্তা মাথায় ঘুরপাক খেতে লাগল। গত
রাতের স্ট্যাটাসটার কথা মনে পড়ল। 'অফিসে
কাজ করতে এত ঘুম পায় কেন?' এই
স্ট্যাটাসটাই কি বসের চোখে পড়েছে?
আমি বললাম, 'বস আর ফেসবুক ব্যবহার করব
না। কসম।'
'যা করার তা তো ফেসবুকে করেই ফেলেছ।
এখন এসব বলে কী লাভ?'
'কী করেছি স্যার?'
'কী করেছ জানো না?'
'না বস। ঠিক বুঝতে পারছি না। আমি
ফেসবুকে মাঝে মাঝে স্ট্যাটাস দিই। আর
কিছু তো করি না।' মাথা চুলকে বললাম।
'চ্যাট কর না? মেয়েদের প্রেম নিবেদন কর
না? তাদের ডিস্টার্ব কর না?' বস যেন গর্জে
উঠলেন।
গলাটা কেন যেন শুকনো লাগছে। চ্যাট তো
আজকাল ভালোই করছি। প্রেমও হয়েছে
সম্প্রতি। কিন্তু কোনো মেয়েকে ডিস্টার্ব
তো করি না।
বস আবার বললেন, 'বল_ মেয়েদের ডিস্টার্ব
কর না?'
'না বস। আমি কোনো মেয়েকে কখনও
ডিস্টার্ব করি না। এত সাহস আমার নেই।'
'একটা মেয়ে প্রমাণসমেত আমার কাছে
অভিযোগ করেছে। তাই আজ থেকে তোমার
চাকরি নট।'
'বস বিশ্বাস করুন...।' গলাটা করুণ শোনায়
বস বললেন, 'তোমার সঙ্গে আর কোনো কথা
বলব না। তুমি এখনই বেরিয়ে যাও। তোমার মুখ
যেন আর না দেখি।'
হতাশমুখে অফিস থেকে বের হলাম। সম্প্রতি
নাদিয়া নামে একটা মেয়ের সঙ্গে ফেসবুকে
পরিচয় হয়েছে। পরিচয়েই সেটা সীমাবদ্ধ
নেই, প্রেমও চলছে পুরোদমে। ভেবেছিলাম,
সামনে বিয়ে নিয়ে চিন্তা করব। নাদিয়া
বলেছিল, ওর পরিবারের সঙ্গে আমার পরিচয়
করিয়ে দেবে। কিন্তু আজ চাকরিটা হারিয়ে
সব কূল গেল। এসব চিন্তা করতে করতে যখন
রাস্তায় হাঁটছি, ঠিক তখন নাদিয়া ফোন
দিল। বলল, 'কংগ্রাটস।'
আমি অবাক হয়ে বললাম, 'কংগ্রাটস দিচ্ছ
কেন?'
'আজ তোমার চাকরি চলে গেছে তাই।'
নাদিয়ার গলা হাসি হাসি।
'তুমি কীভাবে জানলে_ আমার চাকরি নেই?'
'আমিই তোমার বসকে অভিযোগ করেছি, তুমি
ফেসবুকে আমাকে ডিস্টার্ব কর। তোমাকে
যেন চাকরি থেকে বাদ দেওয়া হয়।'
'তুমি আমার নামে অভিযোগ করেছ? তুমি?!!'
রাগটা ঢেকে রাখতে পারলাম না।
নাদিয়া এতটুকু বিচলিত হলো না। বলল,
'শোনো আমার বাবা বলেছিলেন, উনি আমার
পছন্দ মেনে নেবেন। শুধু একটাই শর্ত ছিল,
ছেলেকে বেকার হতে হবে। কারণ উনি
জামাইকে নিজের প্রতিষ্ঠানে বড় কোনো
চাকরি দিতে চান।'
'হ্যাঁ আমি শুনেছি। কিন্তু আমি বেকার
অবস্থায় তোমার বাবার সামনে যেতে পারব
না।'
'এ জন্যই তো তোমাকে বেকার বানিয়ে
দিলাম। এখন আর বাবার আপত্তি থাকবে না।'
নাদিয়া জোরে হেসে উঠল।
'এটা ঠিক করলে, নাদিয়া?'
'জানো না, প্রেমে আর যুদ্ধে সব বৈধ।'
'আমি ঠিক বুঝতে পারছি না। তুমি অভিযোগ
করলে আর বস সাত-পাঁচ না ভেবে আমাকে
চাকরি থেকে বাদ দিয়ে দিলেন। বসকে তুমি
আগে থেকে চিনতে?'
'আরে গর্দভ, তোমার বসই আমার বাবা। উনি
জানেন না তোমার সঙ্গে আমার প্রেম। আর
তুমিও তো আমার ফ্যামিলির কাউকে চেন
না। তাই বুদ্ধিটা কাজে লাগালাম। বাবাকে
বলেছি, রিয়াজ নামে তোমার অফিসের এক
কর্মী আমাকে ফেসবুকে প্রেম নিবেদন
করেছে। বাবা এসব শুনে তোমার চাকরি নট
করে দিয়েছেন। এখন তোমাকে বেকার
অবস্থায় বাবার সামনে নিয়ে যাব। বাবা
তোমাকে মেনে নিতে বাধ্য হবেন। হা হা।'
আমার মাথাটা ঘুরছে। এই মেয়েটার মাথায়
এত বুদ্ধি কেন? খুশিতে সব দাঁত বেরিয়ে
এলো। মনে হচ্ছে শেভিং ক্রিম দিয়ে ব্রাশ
করতে বা কোনো মেয়ে কনুই দিয়ে গুঁতো
দিলেও হাসিটা ধরে রাখতে পারব।
চাকরি হারানোর পর অফিসের যারা
সহানুভূতি জানিয়েছিল, তারাই আবার
শুভেচ্ছা জানাতে এগিয়ে এলো। কারণ
অফিসে অ্যাসিস্ট্যান্ট ম্যানেজার পদে যোগ
দিয়েছি। বস তার কথা রেখেছেন। বেকার
ছেলেকে নিজ প্রতিষ্ঠানে বড় পদে চাকরি
দিয়েছেন। সমস্যা একটাই, 'বস' থেকে 'বাবা'
ডাকটায় এখনও অভ্যস্ত হতে পারিনি।
'রূপান্তর'