ভালবাসার গল্প বাংলা love story bangla

This is default featured slide 1 title

Go to Blogger edit html and find these sentences.Now replace these sentences with your own descriptions.This theme is Bloggerized by Lasantha Bandara - Premiumbloggertemplates.com.

This is default featured slide 2 title

Go to Blogger edit html and find these sentences.Now replace these sentences with your own descriptions.This theme is Bloggerized by Lasantha Bandara - Premiumbloggertemplates.com.

This is default featured slide 3 title

Go to Blogger edit html and find these sentences.Now replace these sentences with your own descriptions.This theme is Bloggerized by Lasantha Bandara - Premiumbloggertemplates.com.

This is default featured slide 4 title

Go to Blogger edit html and find these sentences.Now replace these sentences with your own descriptions.This theme is Bloggerized by Lasantha Bandara - Premiumbloggertemplates.com.

This is default featured slide 5 title

Go to Blogger edit html and find these sentences.Now replace these sentences with your own descriptions.This theme is Bloggerized by Lasantha Bandara - Premiumbloggertemplates.com.

Tuesday, September 19, 2017

আমি যখন ক্লাস নাইনে পড়তাম, তখন ফাহিম নামের একটি ছেলে আমার জীবনের সাথে জড়িয়ে যায়।

যেহেতু আমি সাধারণ একটি পরিবারের মেয়ে। তাই আমি সাধারণ ভাবেই চলাফেরা করতাম। আমি যখন ক্লাস নাইনে পড়তাম, তখন ফাহিম নামের একটি ছেলে আমার জীবনের সাথে জড়িয়ে যায়।
.
ফাহিম তখন এইসএসসিতে পড়ে। আসলে ঐ বয়সে সব ছেলে মেয়েরাই রঙিন চোখ দিয়ে রঙিন দুনিয়া দেখে। আমিও তার ব্যতিক্রম ছিলামনা। আমি মনে মনে চাইতাম, আমাকে কেউ ভালবাসুক। কেউ আমাকে বলুক লাবন্য আমি তোমাকে ভালবাসি।
.
আমার মনের চাওয়াটা পুরোন করেছিল ঐ ফাহিম নামের ছেলেটি। আমাকে সেদিন ও প্রথম বললো.. 
- সাথী তুমি কি কাউকে ভালবাসো..?"
- না, এই প্রশ্ন কেন করছেন..?
- যাক এই না শব্দটাই শুনতে চেয়েছিলাম।
- কেন.., হ্যাঁ বললে কি হতো..?
- কষ্ট নিয়ে ফিরে যেতাম!
- তাতে আপনি কষ্ট পাবেন কেন..?
- আরেকদিন বলবো।
.
ফাহিমদের বাড়ি আমাদের পাশের গ্রামে। ওর বাবা গ্রামের নামকরা চেয়ারম্যান। বেশ কয়েকদিন লক্ষ্য করেছি ও আমাকে ফলো করছে। আজ ওর কথাতে বুঝতে পারলাম, ও মনে মনে কি চাইছে! ছেলেটিকে আমার বেশ পছন্দ। আমি ভবিষ্যতের কথা না ভেবেই ওর প্রেমে পড়ে যাই।
.
একদিন ফাহিম আমাকে বলেই ফেললো সে আমাকে ভালবাসে। আর আমিও তাতে রাজি হয়ে যাই। আসলে ওর প্রতি আমার দুর্বল হওয়ার অনেকগুলো কারণ ছিলো। ও বড়লোক ঘরের সন্তান হলেও ওর মধ্যে কোনো অহংকার ছিলোনা। ও সবসময় সাধারন ভাবেই চলতো। এবং সাধারণ মানুষদের সাথেই চলতো। সত্যি কথা বলতে ওর যতগুলো বন্ধু ছিলো, সবাই ছিলো অসহায় ও গরীব। আর ও সবসময় এই গরীব অসহায়দের নিয়েই চলতো।
.
আমাকে মাঝেমধ্যে অনেক কিছুই গিফট করতো। যেটা আমার কাছে মোটেও ভাল লাগতোনা। একদিন আমি ফাহিমকে বললাম... "তুমি যেদিন নিজে ইনকাম করে আমাকে কিছু কিনে দিবে, সেদিন আমি সব থেকে খুশি হবো। সেটা হোক সামান্য মূল্যের..!"
.
ও যে আমার এই কথাটি সিরিয়াসলি নিবে আমি ভাবতে পারিনি..! একদিন ও আমার হাতে একটি প্যাকেট ধরিয়ে দিয়ে বললো.. "এটা আমার টিউশনির টাকা দিয়ে তোমার জন্য কিনেছি। তুমি সেদিন আমাকে নিজে ইনকামের কথা বললে, আমি তারপর থেকে একটা টিউশনি শুরু করি। আর সেই টিউশনির প্রথম টাকা দিয়ে তোমার জন্য এইটা আর মায়ের জন্য একটা শাড়ি কিনেছি।"
.
সেদিন আনন্দে আমার চোখদুটো অশ্রুতে ভরে গিয়েছিল। আমি সেদিন বুঝেছিলাম ফাহিম আমাকে কতটা ভালবাসে..! আমি ওর দেয়া প্যাকেটা যখন বাড়ি গিয়ে খুললাম, খুলেই আমি অবাক হলাম.! প্যাকেটের মধ্যে একটা নীল শাড়ি এবং সাথে ওর লেখা একটি চিঠি দেখে। আমি চিঠিটা পড়তে লাগলাম...
"লাবন্য, নীল শাড়িতে তোমাকে কোনোদিন দেখিনি। কেন যেন দেখতে খুব  ইচ্ছে করছে আমার..! শাড়িটা পরে আগামীকাল বিকেলে আমার সাথে দেখা করবে প্লিজ..! আমি তোমার অপেক্ষায় থাকবো তোমার সবচেয়ে প্রিয় জায়গা নদীর পাড়ের সেই কাঁশবনে। কি আসবে তো..!?"
.
আমি গিয়েছিলাম ফাহিমের উপহার দেওয়া নীল শাড়িটা পরে। আমাকে দেখেই ফাহিমের চোখ দুটো কপালে উঠে গিয়েছিল..! বলেছিলো....
- সত্যিই অসাধারণ! যেন সাদা কাঁশবনে একটা ডানাকাটা নীলপরী নেমে এসেছে..!
.
সেদিন আমিও একটি গিফট কিনেছিলাম ওর জন্য। একটি নীল রঙের পাঞ্জাবি। প্যাকেটটি ওর হাতে দিয়ে বললাম...
- এটা এখনই গায়ে দাও।
- কি এটা..?
- একটি পাঞ্জাবি, আর একটি ঘড়ি। 
- তুমি এসব কিনতে গেছো কেন..? তুমি টাকা কই পেলে..?
- শুধু তুমিই আমাকে দিবে..? কেন, আমিকি কিছু দিতে পারিনা..? এটা আমার নিজের রোজগারের টাকা দিয়ে কেনা। তুমি তো জানো আমি হাতের কাজ জানি। গত একমাস হাতের কাজ করেছি তোমাকে উপহার দিবো বলে।
.
আমি লক্ষ্য করলাম ফাহিমের দুচোখ বেয়ে পানি পড়ছে। ও বললো...
- আমি তোমাকে ভালবেসে ভুল করিনি। জানিনা আল্লাহ্ আমাদের দুজনের মিলন লিখে রেখেছেন কিনা!? তবে আল্লাহর কাছে চাইবো, তিনি যেন তোমাকেই আমার জীবন সঙ্গিনী করে দেন। 
- তুমি কি নামাজ পড়ো যে আল্লাহ্ তোমার কথা রাখবেন..?
- এখন থেকে পড়বো।
- সত্যি...!?
- হুম..
- আমিও পড়বো..
সেদিনের বিকেলটা ছিলো আমার জীবনের সেরা স্মৃতি। যা কোনোদিনই ভুলতে পারবোনা।
.
সেদিন থেকে আমি আর ফাহিম পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ শুরু করে দিলাম। তারপর থেকে আমরা দেখা সাক্ষাৎও খুব কম করতাম। আমি নামাজ শুরু করে বুঝতে পারি যে, আমার জন্য পর্দা করা ফরজ। আমি পর্দা করাও শুরু করে দিলাম। ফাহিম আমাকে কয়েকটা বোরকা কিনে দিয়েছিলো। আর সেগুলো ছিলো আমার সবচেয়ে প্রিয় উপহার। 
.
আল্লাহ সত্যি সত্যিই আমাদের দুজনের মিলন লিখে রেখেছিলেন। আমার এই পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়া, সহিহ শুদ্ধভাবে পর্দা করা ফাহিমের পরিবারের সবার মন কেড়েছিলো। আর এতেই আমাদের দুজনের মিলন হওয়াটা খুব সহজ করে দেন উপরওয়ালা। দুই বছর পর আমাদের বিয়ে হয়। 
.
আমার আর ফাহিমের আজ বিয়ের একবছর হলো। সেই উপলক্ষে আমার শ্বশুর আব্বা গরীব অসহায়দের মাঝে কাপড় বিতরণ এবং খাবারের ব্যবস্থা করেছেন। আমার শ্বশুর সবার কাছে আমাদের জন্য দোয়া চাইছেন। সেই কাজে ফাহিমও খুব ব্যস্ত। আমাকে সবাই এত ভালবাসে, আমার কাছে কেবলই মনে হয় তা পাবার যোগ্য আমি নই.! জীবনে আমি আর কিছু চাইনা। শুধু এই ভালবাসা টুকুই চাই.!
.
সত্যিই সুখের কপাল আমার। এত সুখ আল্লাহ আমার কপালে লিখে রেখেছিলেন ভাবিনি, আলহামদুলিল্লাহ্। ভাবতেই আমার দুচোখ বেয়ে অঝোর ধারায় অশ্রু পড়ছে। এটাকেই বুঝি সুখের কান্না বলে..!? এভাবেই আমি কাঁদতে চাই আজীবন...
•••
গল্প: "সুখের কান্না"
.
✍Ramzan Khondaker (স্লিপলেস বার্ড)

প্রেমিক ও স্বামী (বড়দের গল্প)

সকাল বেলায় আমি আর আমার স্ত্রী মুক্তা দুইজন এক সাথে বসে নাস্তা করছিলাম ।হঠাৎ কলিং বেল বেজে উঠলো।অামি তখন বললাম, অামি দেখছি কে এসেছে তুমি নাস্তা করো, মুক্তা কোনো কথা না বলে নাস্তা করতে লাগলো । অামি নাস্তা করা রেখে উঠে দরজা খুলে দেখলাম একটা ছেলে দাঁড়িয়ে অাছে ।
তার হাতে একটা খাম।
অামাকে দেখে ছেলেটা খামটা অামর হাতে ধরিয়ে দিয়ে চলে যায় । অামি খামটা হাতে নিয়ে দরজা বন্ধ করে নাস্তার টেবিলে এসে বসি ।
তখন মুক্তা জিজ্ঞেস করে , কে এসেছিলো।
অামি বললাম, একটা লোক এসে এই খাম টা দিয়ে গেলো । এরপর খামটা খুলে দেখি ভিতরে একটা চিঠি।
আমি চিঠিটা নিয়ে পড়ি । দেখি তাতে লেখা , মুক্তা তোমার আর আমার সম্পর্কের ঘটনাটা তোমার স্বামীকে যদি বলে দেই তাহলে কেমন হয় । তোমার সাথে আমার সম্পর্ক কিভাবে হয় ।কখন আমরা কোথায় দেখা করি সব কিছু যদি তোমার স্বামীকে বলে দেই তাহলে কেমন হয় । ইতি তোমার পুরোনো প্রেমিক ।
---
চিঠিটা পড়ে আমি ধমক দিয়ে বলি , এসব কি এসবের মানে কি ।
মুক্তা ভয়ে ভয়ে বলে , কি হইছে এতো রাগলে কেনো।
আমি বললাম, কি হইছে তুমি জানো না ,তুমি বিয়ের আগে বলছিলে, তোমার সাথে কোনো ছেলের সম্পর্ক ছিলো না কিন্তু এখন এসব কি দেখছি। এই বলে চিঠিটা তার হাতে দেই । সে তখন সেটা পড়তে শুরু করে ।
চিঠিটা পড়া হলে দেখি তার চোখ দিয়ে টপ টপ করে জল পরছে । সে কেঁদে কেঁদে বলল, দেখো এসব
মিথ্যা। কেউ আমাকে বদনাম করার জন্য এমন কাজ করছে ,বিশ্বাস করো আমার কোনো ছেলের সাথে সম্পর্ক ছিল না ।
আমি তখন রেগে গিয়ে বলি, কিভাবে তোমাকে বিশ্বাস করি' । তুমি আমার সাথে বিশ্বাস ঘাতকতা করছো,
আমার বিশ্বাস ভেঙ্গে দিছো ।
সে তখন বলে, আমার কথা শুনো , আমাকে একটু বুঝতে চেষ্টা করো ।
আমি তখন বললাম, তোমার কোন কথাই শুনতে আমি চাইনা, আমি প্রমাণ পেয়েছি কোনটা সত্য কোনটা
মিথ্যা সেটার । এই বলে রাগ করে সেখান থেকে উঠে রুমে চলে আসি। আসার সময় তার দিকে তাকালাম , দেখি সে এখনো কেঁদে চলেছে ।
---
রুমে এসে আমি হাসতে হাসতে শেষ,আজ নিজেকে ভালো একজন অভিনেতা মনে হচ্ছে । মুক্তার সামনে ভালোই অভিনয় করলাম , সে বুঝতে পারে নাই সব কিছু সাজানো একটা নাটক ছিলো।
অাসলে চিঠিতে যা লেখা ছিলো সব মিথ্যে।
অার এই মিথ্যে কাজটা অামার নিজের করা ।
গত রাতে সে অামাকে কথায় কথায় বললো , আমি নাকি মানুষকে কষ্ট দিতে জানি না । মানুষকে কাঁদাতে পারি না । আসলে আমি চাই সবাই জেনো সুখে থাকে
আমি চাইনা আমার কারনে কেউ কষ্ট পাক । আমি হাজার কষ্ট পেলেও সবাই যেন সুখে থাকে এটাই চাই ।
আমি কিন্তু ইচ্ছে করলে মানুষকে কষ্ট দিতে পারি ।
মানুষকে কাঁদতে পারি । এটা ওকে বুঝানোর জন্য মিথ্যে এই নাটকটা করি । গত রাতেই সে যখন বলছিলো এরপরে আমি আমাদের বাড়ির পাশের এক ছোট ভাই কে ফোন করে বলি একটা চিঠি লেখে সকালে আমাকে দিয়ে যেতে । কি কি লিখবে সেটাও বলে দেই, আমি নিজে লিখি নাই কারণ আমার হাতের লেখা সে বুঝতে পারবে । তাই ছোট ভাইকে দিয়ে লেখালাম যাতে সে বুঝতে না পারে এটা অামারি করা কাজ । আর নাস্তা করার সময় সে ছোট ভাইটা এসে চিঠি টা দিয়ে গেছে ।
---
এরপরে আমি একটা চিরকুট লিখলাম।
সবকিছুই সাজানো মিথ্যে একটা নাটক ছিলো ।
কেনোই বা তার সাথে এমন কাজ করলাম সব কিছু
লেখে চিরকুট টা নাস্তা করার টেবিলের উপর রেখে বাসা থেকে বের হয়ে আসলাম । আমি জানি সে টেবিল পরিষ্কার করতে আসবে , তখন সে চিরকুটটা পাবে আর সত্যিটা জানতে পারবে । সত্যিটা চিরকুটে লিখে দিলাম কারন সামনা সামনেই যদি বলতে যাই সবকিছু সাজানো একটা নাটক ছিলো । তাকে শুধু কষ্ট
দেয়ার জন্যই এমন কাজ করেছি। তাহলে সে আমার বারটা বাজাবে ।
এখন চিরকুটে লিখে দিলাম সত্যিটা জানার পর রাগ উঠলে আমাকে যেন কিছু না করতে পারে । চিরকুট পড়ার পর যখন তার রাগ কমবে তখন গিয়ে বাসায় আসবো ।
---
দুপুরে ভয়ে ভয়ে বাসায় এলাম ,এসে দেখি
সে টেবিল পরিষ্কার করে নাই , অামি চিরকুট টা যেভাবে টেবিলের ওপর রেখে গেলাম ঠিক তেমনি অাছে ।
তার মানে সে চিরকুট টা দেখে নাই , সত্যিটা এখনো জানতে পারেনাই । এরপরে আমি রুমে আসলাম
তার নাম ধরে দুবার ডাক দিলাম , কিন্তু তার কোনো সারাশব্দ পেলাম না । তখনি আমার নজর গেল বিছানার উপর , দেখি সকালের চিঠিটা বিছানার ওপর
পড়া , সাথে একটা চিরকুট ।
অামি চিরকুট টা হাতে নিয়ে সেটা পড়তে লাগলাম। সেটাতে দেখি লেখা।
-
প্রিয় স্বামী সকালের চিঠিটার সম্পকে তোমাকে কিছু বলতে চাই, পাঁচ বছর আগের ঘটনা , আমি যখন কলেজে পড়তাম ,তখন একটা ছেলের সাথে অামার সম্পর্ক ছিলো । ওর সাথে আমার সম্পর্ক ছিল দুই মাস, এর পরেই আমরা ব্রেকাপ করি । আমাদের সম্পর্কটা
তেমন ঘনিষ্ঠ ছিল না । আর ব্রেকপের কিছুদিন পর
আমি সবকিছু ভুলে যাই। তাই তোমার সাথে যখন আমার বিয়ের কথাবার্তা হয় , যখন তুমি আমাকে জিজ্ঞেস করেছিলে । কোন ছেলের সাথে আমার সম্পর্ক আছে কিনা , তখন আমি না বলি । তোমাকে না বলি শুধু এই কারণেই আমি সবকিছু ভুলে গেছিলাম।
নতুন করে আবার সবকিছু মনে করতে চাইনি বলে ।
কিন্তু এতো বছর পর আবার আমার অতীত সামনে এসে দাঁড়াবে তা আমি কখনও কল্পনাও করি নাই ।
হতে পারে অামার অতিত তোমার কাছে সাধারন ব্যাপার। কিন্তু এখন অামি কিভাবে তোমাকে মুখ দেখাবো , তোমার চোখে চোখ রাখবো । প্রতিটা মূহতে মনে হবে অামি তোমাকে ধোকা দিচ্ছি, এই অনূভুতি নিয়ে কিভাবে বেঁচে থাকবো । না তা অামি কখনো পারবো না, তাই চিরদিনের জন্য তোমাকে ছেড়ে চলে যাচ্ছি। আর কখনো আমার এই মুখ তোমাকে দেখাবো না । ভালো থেকো তুমি অার পারলে অামাকে ক্ষমা করে দিও । ইতি তোমার স্ত্রী মুক্তা ।
---
চিরকুট টা পড়ে পাগলের মতো তাকে ডাকতে
লাগলাম । একে একে সব রুমে রান্নাঘরে সব জায়গায় তাকে খুঁজতে লাগলাম । কিন্তু তাকে পেলাম না , তার মোবাইলে কল দিলাম, দেখি তার মোবাইল বন্ধ ।
তারপর এক এক করে তার মা বাবা বন্ধু বান্ধব সকল আত্মীয় স্বজনকে কল করলাম । সে কোথাও নেই ,
কেউ তার সম্পকে কিছুই জানে না। আমার মধ্যে একটা ভয় কাজ করা শুরু করল , তাকে হারানোর ভয় ।
এসব আমার কারনে হলো ফাজলামি করতে গিয়ে
বড় একটা ভুল করে ফেললাম । সবকিছুর জন্য আমি নিজেই দায়ী । আমার কারণেই আমি আমার স্ত্রীকে
চিরদিনের জন্য হারাতে বসলাম।
---
অামার হঠাৎ মনে পড়লে সব জায়গায় তো দেখলাম
কিন্তু ছাদে দেখা হয়নি । তাড়াহুড়া করে ছাদে উঠে গিয়ে দেখি , ছাদের এক কোনায় সে দাঁড়িয়ে আছে ,। আমাকে দেখে সে হাসতে লাগল ।আর আমি ওকে দেখে কেঁদে ফেললাম । তার কাছে গিয়ে তাকে জড়িয়ে ধরলাম ।
তারপর বললাম, এসব কি এসবের মানে কি , তুমি জানো আমি কতটা কষ্ট পেয়েছি , এমন কাজ করা তোমার মোটেও ঠিক হয়নি ।
তখন সে বলে, আচ্ছা আর তুমি যে আমার সাথে করছো সেই কাজটা কি ঠিক ছিল ।
তখন আমি বলি , না , সেটাও ঠিক ছিলো না ,
তারজন্য সরি । আচ্ছা তুমি সত্যি টা জানলে কি করে ।
তখন সে অামার চোখের জলের ফোটা গুলো তার শাড়ীর অাঁচল দিয়ে মুচে অামাকে জরিয়ে ধরে
বললো ।
তুমি টেবিলের উপর যে চিরকুট টা রেখে গিয়েছিলে সেটা পড়ে , তখন আমার এত রাগ এসেছিলো তোমাকে
হাতের কাছে পেলে খুন করে ফেলতাম । এরপর যখন রাগ কমলো তখন প্ল্যান করলাম , তুমি যে ভাবে আমাকে কষ্ট দিয়েছো , আমাকে কাঁদিয়েছো , তেমনি আমিও তোমাকে কষ্ট দিবো তোমাকে কাঁদাবো । এরপর তোমার চিরকুটটা টেবিলের উপর রেখে দিলাম যেমন করে তুমি রেখে গেছো ঠিক তেমনি । তারপর আমি মিথ্যে একটা চিরকুট লিখলাম , সেটা বিছানার উপর রেখে ছাদে এসে লুকিয়ে থাকলাম । আমি জানতাম তুমি আমাকে না দেখতে পেয়ে আমাকে পাগলের মত খুঁজবে ।
আমি তখন বললাম , তার মানে আমি কষ্ট দিয়েছি তার প্রতিশোধ নিলে ।
তখন সে বলে , ঠিক তাই তার প্রতিশোধ নিলাম ।
আচ্ছা তুমি কি করে ভাবতে পারলে আমি তোমাকে ছেড়ে চলে যাব । আমি কখনো তোমাকে ছেড়ে যাব না ।
তুমি যদি আমাকে যেতে বল আমাকে দূর দূর করে তাড়িয়ে দেও তারপরও আমি যাব না । মরার পরও তোমার পিছু আমি ছারবো না , পেত্নী হয়ে তোমার পাশে থাকবো , তোমাকে ছাড়া এক মুহূর্ত আমি থাকতে পারবো না । কারন অনেক বেশি ভালোবাসি তোমায় ।
তখন আমি ওকে শক্ত করে জড়িয়ে ধরে বললাম।
আমিও তোমাকে ছাড়া এক মুহূর্ত থাকতে পারবো না,
কারন আমিও তোমাকে অনেক বেশি ভালোবাসি ।