ভালবাসার গল্প বাংলা love story bangla

Wednesday, August 16, 2017

>}> পরীর সাথে প্রেম<{< রহস্য বড় গল্প লেখকঃ কাজি মেহেরাব হোসেন পর্ব ৫

.
.
সোহেল রানা তার নিজ চোখ ও কানকে বিশ্বাস করতে পারছে না।এমনিতেও ভিতু টাইপের হলেও আজ কেন যেন ভয় লাগছে না।শুধু এক অদ্ভুদ শিহরন বয়ে চলেছে সারা শরীর এর মধ্য দিয়ে।ইভাকে সে কি বলবে সঠিক বুঝে উঠতে পারছে না।বাংলা,হিন্দি সব ছিনেমার ডায়লগ যা মনে ছিল তাও ভুলে গেছে
ইভা:-কি হল কিছু বলছ না
রানা:-আমি জানতাম তোমাকে পরীর মত দেখতে।কিন্তু তুমি.....
ইভা:-কেন বিশ্বাস হচ্ছে না
রানা:-আচ্ছা শুনেছি রুপকথার পরীরা নাকি তিনটি বর প্রদান করে
ইভা:-৩ টির কথা যানি না।তবে আমার কাছে একটি বর আছে।আর সেটা তুমি
রানা:-বিয়ে করলাম কবে।তবে শালিকে বারবার উরতে মানা কর।অদ্ভুদ লাগছে
ইভা:-একটু আগেই তো বল্লা আমাকে বিয়ে কর নাই।তবে আমার বোনকে শালি বল্লা কেন
মেঘা:-তবে যাই বল আমি দুলাভাইকে কেমন surprise দিলাম
রানা:-ওয়ে বাবা।ওখানে।সবাই আবার ইংরেজি জানে নাকি!!
মেঘা:-নয় তবে আপুর মুখে শুনেছি।মনে হয় আমার দুলাভাই এর কাছ থেকে শিখেছে
ইভা:-আমার কিন্তু একটা জিনিস নিয়ে এখনও ভয় হচ্ছে
রানা:-কি বিষয়ে?
ইভা :-আচ্ছা তুমি কি আমাকে আবার আগের মত ভালবাসতে পারবা।জান আমি কখনও তোমাকে হারাতে চাই না।এজন্য আজ পর্জন্ত তোমার কাছে এই সত্যটা লুকিয়ে এসেছি।এখন যদি ছেরে চলে যাও আমি কিন্তু বাচতে পারব না
রানা:-বাংলা ছিনেমার কমন ডায়লগ এটা।আচ্ছা তুমি এত ডায়লগ পেলা কোন জায়গায়?
ইভা:-তুমি মজা করছ।আগে বল সারাজীবন আমাকে ভালবাসবা কিনা
রানা:-হুম ভালবাসতে পারি তবে এক শর্তে
ইভা:-কি?
রানা:-আমাকে তোমার রাজ্যে নিয়ে যেতে হবে।অনেক শখ পরীদের দুনিয়াটা দেখার
ইভা:-হাত ধর
রানা:-তোমার বোনের সামনে :-) আচ্ছা ধরলাম
.
.
ইভা রানাকে নিয়ে তাদের রাজ্যো নিয়ে গেল।রানা আস্তে আস্তে মেঘের উপরে যাচ্ছে।নিচে তাকানোর সাহস নেই তার।মনে মনে তবুও অনেক উত্তেজনা কাজ করছে।ছোটবেলায় শুধু রুপকথার গল্প শুনেই গেছে।কোনদিনও বিশ্বাস না করলে অনেক রকমের অনুভুতি কাজ করত।কল্পনায় নিজেকে পরীর দেশে খুজে নিত আর আজ তাকে এক পরী যাকে সে অনেক ভালবাসে সে তাকে তার স্বপ্ন পুরন করতে সাহায্য করছে।কিছুক্ষনের মধ্যোই তারা রাজ্যে ফিরে এল।ছোটবেলায় রানা পরীদের দেশ সম্পর্কে যা শুনেছিল বা অন্যান্য জায়গা হতে যা জেনেছিল তার কিছুই দেখতে পেল না।তবে অন্যরকম ছিল যায়গাটা।এদিকে শালি দেখি জ্বালিয়ে পুরিয়ে খেল।কোথায় রাজ্যো টা ঘুরিয়ে দেখাবে তা নয় নিজের প্রশংসা করতে ব্যাস্ত আর তার বাবার বাহাদুরি নিয়ে ব্যস্ত।আচ্ছা সেটা তো হবে কিন্তু শশুরমশাই কে তো দেখা যাচ্ছে না।ইভা রানাকে তার মা-বাবার সাথে পরিচয় করাতে নিয়ে আসল।শশুরমশাই এর বিশাল ডানা দেখতেই রানা ব্যাস্ত।এদিকে তার শাশুড়ি কে অনেক সুন্দর লাগছে দেখতে যেখানে তার শশুরমশাই ততটা সুদর্ষন নয়।বলেই ফেলল তার ইভার মায়ের সৌন্দর্যের কথা।ভাগ্যিস মুখ ফসকে শশুরমশাই এর কালা চেহারার কথা বের হয় নাই।তবে মেয়ে দেয়া তো দুরের কথা ওকে রাজ্য হতে চুড়ে নিচে ফেলা হত।রানা একদিকে আবার পটানোর এক্সপার্ট।ইভার মা-বাবাকে।পটাতে তার বেশি সময় লাগল না।কিন্তু হনুমান মার্কা শশুরমশাই কে পটাতে বেশ কিছু সময় খরচ হল।বান্দা কোন কিছুতেই খুশি হচ্ছিল না।তবে সামনে যেই হোক না কেন পটানো রানার কাছে সোজা।এদিকে মেঘা তার শালি রানাকে নিয়ে ঘুরতে বেরিয়ে গেল।রানাকে এমনিতেও দেখতে রাজ্যোর প্রায় সব লোক ছুটে এসেছে।নিজেকে ছেলিব্রিটি মনে হচ্ছে।কিন্তু রানা আসলে জানে না তারা তাকে নয় ইভার মানুষ্য প্রেমি কে দেখতে এসেছে।এদিকে রানা রাজ্যে বিভিন্ন যায়গা পরিদর্শন করল।ভাগ্যিস ভাল পৃথিবীর মত এখানে কসমেটিক্স এর দোকান নেই।থাকলে হয়ত আজকে তার।পকেট খালি হয়ে যেত।আচ্ছা বাংলাদেশে টাকা চলে আমেরিকায় ডলার।এখানে কি চলে ভাবতে থাকে
.
.
ভাবতে ভাবতে একা একা একটু দুরে যেতেই ফারিয়াকে দেখতে পায়।এই তো সেই ফারিয়া যাকে সে ইভার সাথে দেখেছিল।কিন্তু এ এখানে কিভাবে এল।ফারিয়ার বাসা ছিল নির্জন স্থানে।কোন বাঘ খেয়ে ফেলায় মরে ভুত হয়ে আসেনিতো।কল্পনার জগত কে ভেংগে ফেলে ফারিয়া বলল
--আমি তোমাকে ভালবাসি।সেই কলেজ স্কুলে পরার সময় থেকে।আমি জীন এর সন্তান এটা ভেবে ভয় পাবে বলে বলা হয়ে ওঠেনি।কিন্তু আর নয়।ইভার অনেক আগ হতে আমি তোমাকে ভালবাসি।তুমি চাইলে আমি ইভার থেকেও বেশি সুন্দরের রুপ ধারন করব
--কিন্তু আমি ইভাকে ভালবেসে ফেলেছি।তার রুপের জন্য নয় আমি তার মনকে ভালবেসে ফেলেছি।তাই আমার কাছে তোমাকে ভালবাসা সম্ভব নয়।দয়া করে বোঝার চেষ্টা কর
--কিন্তু আমি তোমাকে ইভার থেকেও বেশি ভালবাসা দিব
--আমি তোমাকে বলে বোঝাতে পারব না আমি ইভাকে কতটা ভালবাসি।শুধু এটাই বলতে পারব ওকে চাড়া আমি ১ মুহুর্ত ভাল থাকতে পারব না
--তুমি যেটাকে ভালবাসা ভাবছ ওটা আসলে ভালবাসা নয়।আমি তোমাকে প্রকৃত ভালবাসি
--আমি জানিনা তুমি আমাকে কতটা ভালবাস।কিন্তু আমিও ইভাকে চাড়া থাকতে পারব না।দয়া করে আমাকে তুমি ভুলে যাও
রানা তার শালিকে নিয়ে ওখান থেকে চলে গেল আর গোটা ব্যপারটা সবার থেকে লুকিয়ে রাখল।
.
.
রানা ইভাকে নিয়ে আবার পৃথিবীতে আসল।কিন্তু ঘরে এসে দেখে যে তার মা বাবা ঘরে নেই।তাই ইভাকে নিয়ে অপেক্ষা করতে লাগল।হটাৎ ইভা অদ্ভুদ রকমের একটি দৃশ্য তার চোখে ভেসে উঠতে দেখল।দেখতে পেল কেউ দু জন কাপলস কে বেধে রেখেছে মানুষের চামরা দিয়ে।রানাকে নিয়ে গেল এ ব্যাপারে খোজ নিতে।ইভা আস্তে আস্তে সে যায়গায় প্রবেশ করতে দেখল সেই কাপলস রানার মা-বাবা আর তাদের সামনে ইভার সেই প্রেমি দানবটি।তবে সেই দানবের চোখে ইভার জন্য ভালবাসা নেই।আছে খুন করার অগ্নিময় চোখ।এই মুহুর্তে ইভার রাজ্য হতে কেউ আসতে পারবে বলে মনে হয় না তাদের বাচাতে।আর ইভার কাছে সেই দানবটির সাথে লড়াই করার পর্যাপ্ত শক্তি নেই।,,,,(চলবে)

লেখায় ভুলত্রুটি ক্ষমার চোখে দেখবেন। গল্পটি কেমন লাগছে জানিেয় লেখককে পরবর্তী পর্ব লেখার জন্য উৎসাহিত করবেন। সবাইকে ধণ্যবাদ।

0 মন্তব্য(গুলি):

Post a Comment