>>} পরীর সাথে প্রেম {
রহস্য বড় গল্প
লেখকঃ কাজি মেহেরাব হোসেন
পর্ব ১
.
.
সোহেল রানা কলেজের সবচেয়ে হ্যান্ডসাম ছেলে পড়ালেখায় ও যেমন ভাল খেলাধুলাতেও সবার আগে।কলেজের অধিকাংশ মেয়েরাই রানার প্রেমে পাগল।এদিকে কলেজের এক সুন্দরি মেয়েও তার প্রেমে পাগল।মেয়েটির নাম ইভা।সেও মোটামুটি পড়ালেখায় ভাল।সে হটাত কয়েকমাস হল কলেজে ভর্তি হয়েছে।সে কলেজে পুরাটা ক্লাস যুরে রানার দিকে তাকিয়ে থাকত।রানার উপর যেন তার একটা অজানা মোহ কাজ করতে শুরু করেছে।ইভা জিবনেও কল্পনা করতে পারে নাই যে সে প্রেমে পরবে।কারন সে বরাবরই প্রেমের বিপক্ষে।কিন্তু রানার মাঝে তার একটি অন্য রকম ফিলিংস কাজ করে সবসময়ই।কিন্তু রানা কখনই কোন মেয়েকে পাত্তা দেয় নাই।অহংকার এর কারনে নয় তার লক্ষ ঠিক রাখার জন্য।রানার কাছে একমাত্র লক্ষ তার মা বাবার কষ্ট দুর করে নিজের পায়ে নিজে দারানো।ইদানিং ইভা রানার সাথে সবসময়ই কথা বলার চেষ্টা করে।রানা বরাবরের মতই এরিয়ে যায় কিন্তু সে বুঝতে পারে মেয়েটার প্রতি এক অদ্ভুদ টানের জন্ম হয়েছে
.
.
নাহ!!তার দুর্বল হলে চলবে না।তার মা বাবার শেবা করার একটা সুযোগ ও হাত ছাড়া করা চলবে না।যে বাবা এত কষ্ট করে নিজে না খাইয়ে তার ছেলে কে খাইয়েছে।আজ তার অসুখের সময়ে সে প্রেম করে সময় নষ্ট করবে না।তাই রানা ঠিক করল যে সে ইভার সাথে আর কোনদিন কথা বলবে না।কিন্তু ইভা তার সাথে সবসময়ই যেচে কথা বলতে আসত।একসময় এমন হল যে সে ইভার কথা না শুনলে দিনটা খারাপ কাটত।রানার বুঝতে বাকি রইল না যে সে প্রেমে পরেছে।কিন্তু সে কি করবে বুঝতে পারছিল না।তখন সে চিন্তা করল যে আপাতত মেয়েটার সাথে ফ্রেন্ডশিপ করা যাক।শুধু দিনে একবার কথা বলতে পারলেই যথেষ্ট।আগে নিজের পায়ে দারাক,মা বাবার ইচ্ছাগুলি পুরন হোক তারপর সে ইভাকে তার মনের কথা বলবে।তাই সে তার পরের দিন কলেজে ইভার সাথে ফ্রেন্ডশিপ পাতায় নেয়।কিন্তু ইভার কাছে শুধুমাত্র ফ্রেন্ডশিপ যথেষ্ট ছিল না।তাই ইভা রানা কে বলল
ইভা:-রানা আমার বেস্ট ফ্রেন্ড তুমি।জান আমি যেটা পৃথিবীর কারো কাছে প্রকাশ করি না সেটাও তোমার কাছে বলি।যান আমার বান্ধবিরা বলে যে এটাকে ভালবাসা বলে।তোমার কি মনে হয়
সোহেল রানা:-যত্তসব ফালতু কথা।(মনে অনেকটা খুশি কারন সে এখনও বুঝতে পারছে না)এর মানে আমরা দুজনই
ইভা:-মানে!!আমরা দুজন বলতে
রানা:-আমরা দুজন বেস্ট ফ্রেন্ড।আর বেস্ট ফ্রেন্ডরাই সুখেদুঃখের অংশীদার হয়ে থাকে।এজন্যই তো তাদের বেস্ট ফ্রেন্ড বলা হয়ে থাকে
ইভা:-হুম।বেস্ট ফ্রেন্ড ফরেভার(অনেক দুঃখ নিয়ে মনের মধ্যো)
ইভা বুঝতে পারছেনা যে ছেলে সবকিছুতে এত শ্মার্ট আর সে এইটুকুই বুঝতে পারছে না।সে বুঝতে পারল যে সে তাকে একদম ভালবাসে না।তাই চিন্তা করল তার সামনে আর আসবে না।
.
.
এদিকে রানা তাকে ১ সপ্তাহ না দেখতে পেয়ে পাগল প্রায়।একদিন কলেজে তার খোজ নিতে যায়।কিন্তু অদ্ভুদ ভাবে ওই কলেজে মেয়েটার কোন নিশানা নাই।তাও সে তার সন্ধান করতে লাগে।তার একমাত্র বান্ধবি সোভা।কলেজে নতুন বলে বান্ধবী সং্খা কম ছিল।তো শোভার কাছে যানতে পারে যে সে প্রায় জংগলে এক গাছের নিচে বসে বই পড়ে।সে দেরি না করে বিকালে যায় সে জংগলে ও খুজতে খুজতে একসময় পেয়েই যায়।কিন্তু তখন ইভা তার বাবা পরিদের সর্দার এর সাথে কথা বলছিল।
.
.
আসলে ইভা কোন সাধারন মেয়ে নয়।পরি জগতের রানী সে।কিন্তু একদিন রানাকে সেই জংগলে খেলতে দেখে যেখানে সে প্রাই যাতায়াত করত।প্রথম দেখাতেই তাকে ভাল লেগে যায়।কিন্তু সে কোনদিন প্রেমে পরবে তাও আবার কোন মানুষের সাথে সেটা ভাবতেই পারে নি।তার কথা বার্থা সব ইভার ভাল লাগতে থাকে।তাই সে পাতালে আসে ও একই কলেজে ভর্তি হয়।এবার আগের কথায় ফিরে আসা যাক।রানা জংগলে গিয়েছে ইভা কে খুজতে।শেষে খুজে পায়।কিন্তু রানা যা দেখল সেটা দেখার জন্য সে প্রস্তুত ছিল না
.
............................(চলবে)
লাইক কমেন্ট করে পরবর্তী পর্ব পড়তে সাথেই থাকুন এবং লেখককে উৎসাহিত করুন। ধন্যবাদ।
md rakib
ReplyDeleteMd rakib
ReplyDelete01813238644
ReplyDeleteMd rakib
ReplyDelete01813238644
ReplyDelete