ভালবাসার গল্প বাংলা love story bangla

This is default featured slide 1 title

Go to Blogger edit html and find these sentences.Now replace these sentences with your own descriptions.This theme is Bloggerized by Lasantha Bandara - Premiumbloggertemplates.com.

This is default featured slide 2 title

Go to Blogger edit html and find these sentences.Now replace these sentences with your own descriptions.This theme is Bloggerized by Lasantha Bandara - Premiumbloggertemplates.com.

This is default featured slide 3 title

Go to Blogger edit html and find these sentences.Now replace these sentences with your own descriptions.This theme is Bloggerized by Lasantha Bandara - Premiumbloggertemplates.com.

This is default featured slide 4 title

Go to Blogger edit html and find these sentences.Now replace these sentences with your own descriptions.This theme is Bloggerized by Lasantha Bandara - Premiumbloggertemplates.com.

This is default featured slide 5 title

Go to Blogger edit html and find these sentences.Now replace these sentences with your own descriptions.This theme is Bloggerized by Lasantha Bandara - Premiumbloggertemplates.com.

Saturday, September 16, 2017

দুদিন বাদে বিয়ে।আমি তোমায় ছাড়া বাঁচবোনা রফি।

-রফি আমায় বিয়ের জন্য বাসা থেকে চাপ দিচ্ছে।
-বাসায় আমাদের রিলেশনের কথা জানিয়ে দাও।
-তুমি এখনো কোনো জব করোনা।আব্বু কখনোই আমায় তোমার হাতে তুলে দিবেনা।
-চেষ্টা করে যাচ্ছিতো।বলে দেখো যদি আমায় কিছুটা সময় দিতে রাজি হয়।
-আচ্ছা
-হুম,আমিও আমার বাসায় জানাচ্ছি।এবার যা হবার হবে।
-বাদ দাও,তোমার দাড়ি কত্ত বড় হয়ে গিয়েছে,কাল একদম ক্লিন সেভ হবা।
-শর্ত আছে
-কি শর্ত
-তবে এখন একটা পাপ্পি দাও
-হিহিহি
.
মিমের সাথে পাঁচ বছরের রিলেশন।
এই পাঁচ বছরে দুজন দুজনের মাঝে মিশে গিয়েছি।
*
অনার্স পাশ করেও কোনো চাকরী যোগাড় করতে ব্যর্থ হয়েছি।
এই যুগে যে টাকা আর মামা-খালু ছাড়া দামী সার্টিফিকেটও দুষ্কর।
এদিকে মিমকে হারানোর ভয় মনের মাঝে প্রতিটা সময় বিরাজ করছে।
উপায়হীন হয়ে বাসায় জানাতে বাধ্য হলাম।
আব্বু-আম্মু তাতে কিছুতেই সম্মতি জানালেন না।
মিমের কাছ হতে জানতে পারলাম তারো একি অবস্থা।
সেদিন খুব অসহায় লাগছিলো নিজেকে।
এই কি ভালবাসার পরিণতি!দুটি নিষ্পাপ মনের ভালবাসার কি কোনো দাম নেই!
*
সকালে ঘুমিয়ে আছি।৮টায় মিম কখনো ফোন দেয়না।
হয়তো তাঁর জানা,এই সময়টা আমি ঘুমাতে পছন্দ করি।
কিন্তু স্ক্রিনের দিকে তাকিয়ে কিছুটা অবাক হলাম,মিম ফোন দিয়েছে।
-হ্যালো মিম
-রফি প্লিজ আমার সাথে আজ এখনি দেখা করো[কান্না জড়িত কন্ঠে]
-ক্যানো কি হয়েছে!সব ঠিক আছেতো?
-কিচ্ছু ঠিক নেই,তাড়াতাড়ি সেই বট গাছটার ওখানে আসো।
-আচ্ছা আমি আসছি।
.
আর কিছু না ভেবে কোনো রকম ফ্রেস হয়ে রওনা দিলাম।
যেতে মুটামাটি ১০মিনিট লেগে গেলো।
মিম আমাকে দেখেই দৌড়ে এসে জড়িয়ে ধরে:
-রফি আব্বু আমাদের রিলেশনের কথা শুনে আমার সাথে আব্বুর এক ফ্রেন্ডের ছেলের বিয়ে ঠিক করে ফেলেছে।
প্লিজ আমায় তোমার সাথে নিয়ে চলো[কান্নার কন্ঠে]
-তুমি চিন্তা করোনা।আমি দেখি কিছু টাকা জোগাড় করে কালকেই দুজনে কোথাও চলে যাবো
-সত্যি তো
-হুম
*
সেদিন কথা রাখতে ব্যর্থ হই।
বেকারত্ব আর ভাগ্যের খেলায় অল্প কিছু টাকা জোগাড় করতে পেরেছিলাম।
যেটা দিয়ে হয়তো কাজী অফিসে দুজনের বিয়েটা সম্পূর্ণ করাও সম্ভব হতোনা।
.
চির চেনা বট সেই গাছটার নিচে বসে নিকোটিনের ধোয়াই বুকের পাজড়কে জ্বালিয়ে দিচ্ছি।
আর কল্পনায় ভাবছি,মিম হয়তো এখন বিয়ে নিয়ে কতোইনা ব্যস্ত!
কিন্তু সব কল্পনা মনের ভ্রম ভেঙে মিম দৌড়ে এসে আমায় জড়িয়ে ধরলো।
-তুমি এখানে ক্যানো
-তুমি ভাবলে কি করে,আমি তোমায় ছাড়া অন্য কাউকে বিয়ে করবো
-জানি,কিন্তু এখন কি হবে
-মৃত্যু
-মানে
-দুজনে এক সাথে বাঁচতে না পারলেও,মরতে তো পারবো
*
সেটা আবেগ নাকি ভালবাসা আমার অজানা।
তবে দুজনেই বিষ পান করি।
ভেবেছিলাম সব শেষ।
নাহ্ আসলে কিছুই শেষ হয়নি।
ভালবাসা হোক বা ভাগ্য কিছু একটার টানে দুজন সেদিন বেঁচে যাই।
.
বিষ পান কড়ার পর সেখানকার কিছু লোক অবস্থাটা বুঝতে পেরে তাড়াতাড়ি হসপিটালে নিয়ে যায়।
আমাদের দুজনেরি বাসার লোক খবর পেয়ে ছুটে আসে।
পেরেছিলাম সেদিন ভালবাসাকে জয় করতে।
সমাজ,জাত-পাত,ধর্ম সব কিছুকে উপেক্ষা করে মিমকে নিজের করে পেতে।
দুজনের পরিবারি অবশেষ হার মেনেই নেয়।
.
কিন্তু এখানেই সব শেষ হলে হয়তো অজানাই রয়ে যেতো ভালবাসার পরিণতি।
আমার বেকারত্বের কারণে উভয়ের পরিবার থেকেই সিদ্ধান্ত নেয় আমায় বিদেশে পাঠানোর।
বিবাহিত জিবনের সবেমাত্র ৫মাস বয়স।
এখনি মিমকে ছেড়ে দূরে থাকতে হবে,ভাবতেই বুকের মাঝটা কেঁপে ওঠে।
কিন্তু আবারো সমাজের কাছে পরাজিত হই।
মিমকে দেশে রেখেই পা বাড়াতে হয় বিদেশের উদ্দেশ্যে।
এয়ারপোর্টে মিম জড়িয়ে ধরে কতোই না কান্না।
একদম বাচ্চা মেয়ের মতন।
আমিও ফেলেছিলাম দু-ফোটা চোখের পানি।
তবে সেটা আড়ালে।
.
বিদেশে এসে ৪মাসে মুটামাটি সব কিছু গুছিয়ে নিয়েছি।
এরি মাঝে বাড়ি দুবার টাকাও পাঠিয়েছি।
এবং মিমের সাথে কথা বলতে একটি এন্ড্রয়েড ফোনো পাঠিয়ে দিই।
প্রতি তিন দিনে কাজের ফাকে একবার করে কথা হতো।
হাজার মাইল দূরত্বের মাঝেও আমাদের ভালবাসায় কোনো কমতি ছিলোনা।
দেখতে দেখতে কেটে গেলো দুটি বছর।
এখন বাড়ি যাবার পালা।
মিমকে জানাতেই সেকি খুশি।
আমিও এক অন্যরকম ভালোলাগা নিয়ে দেশের উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম।
মনের মাঝে সবার জন্য কত্ত কথা জমে আছে সেটা শুধু এই মনটাই জানে।
.
এয়ারপোর্টে নেমে কিছুটা আবাক হলাম।আব্বু-আম্মু কাকা-কাকী সবাই এসেছে শুধু মিম আসেনি।
-আম্মু মিম আসেনি?
-নাহ্,ও বললো তোর জন্য আজ খুব স্পেশাল রান্না করবে।তাই বাড়ি থেকে গেছে।
-একা বাসায়?
-হুম।
-ধ্যাত একা রেখে আসতে গেলে ক্যানো!
-আরে সমস্যা নেই।বুঝিতো!বাসায় গেলেই দেখতে পাবি।
*
বাসায় এসেই অবাক,ঘর খোলা।
মিম বলে ডাক দিয়েও কোনো সাড়া পেলাম না।
প্রতিটা ঘর খুঁজলাম,কিন্তু মিম কোথাও নেই।
আম্মু বললো হয়তো পাশের বাসায় গেছে।
কিন্তু খোঁজ নিয়ে কোথাও পেলাম না।
থানায় মিসিং কম্পেলেন করলাম।
দুই দিন কেটে যায় তিন দিন কেটে যায় চার দিন কেটে যায় মিম আরে ফিরে আসেনা।
আমার সবটা চেষ্টা দিয়েও খুঁজে পেলাম না।
.
কেটে গেলো চারাটি মাস।
সারাদিন মিমের ভাবনায়ি পরে থাকি।
মন বলছিলো মিম হয়তো একদিন পেছন থেকে এসে জড়িয়ে ধরে বলবে রফি আমি চলে এসেছি।
কিন্তু সেটা আর হয়ে উঠলোনা।
সবাই ধরে নিয়েছে মিমকে কেউ কিডন্যাপ করে মেরে ফেলেছে।
সময়ের সাথে আমিও মেনে নিতে বাধ্য হয়েছি।
.
বিকেলে নদীর ধার দিয়ে হাঁটছি আর পুরোনো দিনগুলো ভাবছি।
এই নদীর ধারে কতোইনা মিমের হাতে হাত রেখে স্রতের সাথে ঢেউএর খেলা দেখেছি।
মিম পাশে থাকলে হয়তো আজো আগের মতন করেই দিনটা ফিরে পেতে পারতাম।
হঠাত ফোনটা বেজে উঠলো।
স্ক্রিনের দিকে তাকিয়ে বুকের বাম-পাশটা দুমড়ে-মুচড়ে গেলো।
-মিম কোথায় তুমি?ভালো আছো তো?তোমার কিছু হয়নিতো?
-এত্ত কিছু বাদ দাও,আমার ডিভোর্স চাই।
-মা...মানে।মিম কোথায় তুমি একবার বলো প্লিজ।
-সময় হলে বলবো।আমি এখন রিহানকে ভালবাসি,আর তাকেই বিয়ে করবো।তোমার ডিভোর্সের অপেক্ষায় শুধুমাত্র সম্ভব হচ্ছেনা।
-কি বলছো এগুলো
-তুমি বিদেশ যাবার পর কিভাবে যেন রিহানের সাথে জড়িয়ে যাই।আস্তে আস্তে অনেকটাই ভালবেসে ফেলি রিহানকে।যেদিন তুমি বিদেশ থেকে ফিরে আসবে সেদিন আমি ইচ্ছে করেই এয়ারপোর্টে যাইনি।প্লান অনুযায়ী রিহানের সাথে পালিয়ে যাই।কিন্তু আমরা এখনো বিয়ে করতে পারিনি।প্লিজ যত তাড়াতাড়ি সম্ভাব আমায় মুক্তি দাও।
*
সেদিন বুকের মাঝে হাজারো অভিমান বিরাজ করেছিলো।
বুঝতে পারিনি এ নিয়তির কোন খেলা।
অশ্রু ভেজা চোখে মিমকে আমার থেকে মুক্তি দিয়ে দিই।
মনের মাঝে তখন প্রশ্নের ছড়া ছড়ি।
তবুও আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করি মিম যেখানেই থাকুক যেভাবেই থাকুক ভালো থাকুক।
<আব্বু-আম্মুর সিদ্ধান্তকে প্রাধান্য দিলে,
হয়তো জিবনের গল্পটা এমন হতোনা।>
-Bristipatuiary  (collect

মেয়ে যখন বড় হয় তখন বাবা মায়ের চিন্তার অন্ত থাকেনা।

মেয়েটি তার প্রেমিকের সাথে পালিয়ে যাবার। সময় ছোট একটি চিরকুটে লিখেছিল, "বাবা অামাকে ক্ষমা করে দিও।"
মেয়েটির বাবা সেদিন তার মেয়েকে ক্ষমা করতে পারেনি। বাচ্চাদের মত উঠানে বিলাপ করে কেঁদেছিল। প্রলাপ করে প্রায়ই বলত, অামার মেয়েটা একটিবার অামার কথা ভাবলনা।"
.
লোকটির নাম মাসুদুর রহমান। নরসিংদী ইউ, এম, সি জুট মিলস এ কাজ করে। মাসুদুর রহমানের স্ত্রী নরসিংদী সদর হাসপাতালে মেয়েটিকে জন্ম দেয়ার সময় মারা যায়। 
এলাকার মানুষ খুব করে বলত, "অাবার একটা বিয়ে করো, সারাটা জীবন পড়ে অাছে।"
মাসুদুর রহমান মেয়েটিকে কোলে নিয়ে বলত, "অামার মেয়েটাই অামার সারা জীবনের সুখ। সুখীই অামার সুখ। "
সেই থেকে মেয়েটির নামই "সুখী"
মাসুদুর রহমান যখন কাজে চলে যেতেন তখন সুখীকে তার দাদীর কাছে রেখে যেতেন। কাজ থেকে ফিরে সারাক্ষন মেয়েকে নিয়ে সময় কাটাতেন। রাতে বুকে নিয়ে মেয়েকে ঘুম পাড়িয়ে দিতেন। সে সুখী অাজ কত বড় হয়ে গেছে। বাবার কথা একটিবার ভাবার প্রয়োজন মনে করলনা। 
.
মেয়ে যখন বড় হয় তখন বাবা মায়ের চিন্তার অন্ত থাকেনা। সুখী যখন হাইস্কুল পেরিয়ে কলেজে ভর্তি হল। তখন থেকেই মাসুদুর রহমান মনে মনে একটি যোগ্য পাত্রের সন্ধান করছিলেন। মেয়েটিকে তিনি সুখী দেখতে চান। 
.
যখন ভাল একটি পাত্রের সন্ধান পেলেন তখন গতকাল সুখীকে মাসুদুর রহমান বলেছিলেন, "অামার মেয়েটা অনেক বড় হয়ে গেছে। পরের ঘরে যাবার সময় হয়েছে। মা'রে শুক্রবার তোকে পাত্রপক্ষ দেখতে অাসবে" 
তখন সুখীর চেহারাটা দুঃখী দুঃখী ভাব ছিল। মাসুদ ভেবেছিল তাকে ছেড়ে যেতে কষ্ট হবে তাই হয়তো মেয়েটার মন খারাপ। কিন্তু সকালে উঠে অার সুখীকে পেলোনা। মাসুদকে একা রেখে তার মেয়ে নিজের সুখ খুঁজতে চলে গেল। 
.
প্রতিবেশীরাও বলতেছে, "অাগেই বলেছিলাম মা মরা মেয়েটার জন্য হলেও একটা বিয়ে করো। মা ছাড়া মেয়েরা এমনই হয়"
মাসুদ রাতের অন্ধকারে সুখী সুখী বলে কান্না করত। অার প্রতিবেশীরা ঠাট্টা করে বলত, "এমন মেয়ের জন্যও কেউ চোখের জল ফেলে?
.
. চার বছর পরের কথা। মাসুদ অনেক অসুস্থ। বলা চলে জীবন মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে। মাসুদের মা বুড়া মানুষ হয়েও এদিক সেদিক ছুটাছুটি করে ডাক্তার দেখাইত। মাসুদ বলত, "মা অযথা চেষ্টা করছ। অামার দিন অার বেশী নেই। সুখীকে একবার দেখে যেতে পারলে শান্তি পেতাম। "
মাসুদের বাবা নেই। বুড়া মা অার কতটুকু দৌড়াতে পারে এদিক সেদিক? প্রতিবেশীরা একদিন অাসলে দ্বিতীয়দিন অার অাসেনা। এমনি করে মাসুদ জীবন অার মৃত্যুর মাঝখানে শুয়ে অাছে। কখন জানি মায়ার এই পৃথিবী ছাড়তে হয়। 
.
মাসুদের মা মাসুদের কানের কাছে এসে বলল, "মাসুদ তোর মেয়ে এসেছে। সুখী এসেছে তোকে দেখতে। "
মাসুদ উঠার চেষ্টা করেও অার পারলনা। সুখী দৌড়ে এসে মাসুদের পায়ে ধরে কান্না করতেছে অার বলতেছে, "বাবা অামাকে তুমি ক্ষমা করোনি, তাই অামি সুখী হইনি"
সুখীর পিছনে তার তিন বছরের ছেলে। মাসুদ একবার নাতিটাকে দেখে নিল। তারপর বলতে লাগল, "মা'রে অামি তোকে ক্ষমা করে দিয়েছি। তোকে দেখার খুব ইচ্ছে ছিল শেষবারের মত। অাল্লাহ অামার দোয়া কবুল করেছেন। 
.
সুখী চোখের পানিতে বাবার পা ভিজাচ্ছে অার বলতেছে, 
বাবা অামি পালিয়ে গিয়ে সুখী হতে পারিনি। অামার স্বামী বিয়ের দেড় বছর পর থেকে প্রচন্ড নেশা করত। অামি কিছু বললে অামাকে মারধোর করত। গতকাল এত মারছে যে অার সহ্য করতে পারিনি। ছেলেটাকে সাথে করে নিয়ে চলে এসেছি। অামাকে জায়গা দিবানা বাবা? ''
মাসুদ মুচকি হাসি দিয়ে বলল, বাবা মা তাদের অাটটা দশটা ছেলে মেয়েকে জায়গা দিতে পারে অার অামি তোকে জায়গা দিতে পারবনা?
.
পরেরদিন সুখী বাবার হাত ধরে বলতেছে, "বাবা, তুমি অনেক অসুস্থ। তার উপর অামি এসে জুুটেছি। কিভাবে সংসার চলবে? কিভাবে বাকি দিনগুলো যাবে?
মাসুদ মুখে মৃদু হাসির রেখা টেনে বলতেছে, "অামি মরে গেলে তোর বাকি জীবন সুখেই কাটবে। জুট মিলস থেকে অনেকগুলো টাকা পাবি। অামি সবকিছু তোর নামেই করেছি। সুখী মা, তুইতো অামার সুখরে"
.
সুখী তার ছেলেটাকে বুকে নিয়ে বোবার মত স্তব্ধ হয়ে গেছে। চোখে কোন পানি নেই। মাসুদকে বড়ই পাতার গরম জলে শেষ গোসল দিচ্ছে। 
"সুখী সুখ পেল কিনা জানা নেই, মাসুদ তার মেয়েটিকে নিয়ে সুখী হতে চেয়েছিল।"