ভালবাসার গল্প বাংলা love story bangla

Wednesday, August 16, 2017

>}> পরীর সাথে প্রেম<{< রহস্য বড় গল্প লেখকঃ কাজি মেহেরাব হোসেন পর্ব ৪

.
.
সোহেল রানার মনে কেমন যেন কু ডাক গাইতে থাকে।ইদানিং স্বপ্নে সে ইভার চিতকার শুনতে পায়।সেই জ্বীন সেই গুহা এবং গুহার মধ্যো বন্দি ইভাকে।আবার ইদানিং কলেজেও ইভাকে না দেখতে পেয়ে তার মন খারাপ হতে লাগল।একদিকে ভালই হয়েছে মেয়েটার কারনে যা ঝামেলা হয়েছিল সব মিটে গেছে।কিন্তু ইভাকে যে সে ভালবাসে।প্রচুর ভালবাসে।আবার সেই জীন তার কিছু ক্ষতি করল না তো যে তার মা ও বাবাকে মারার হুমকি দিয়েছে।না মাথা কাজ করছে না।খুব মন ছটফট করছে ইভাকে দেখার জন্য।মেয়েটিকে ওভাবে বলা উচিত ছিল না।রানা আবার হয়রানিতে ভুগলেও বাড়িরয় কাউকে সে বুঝতে দিল না ব্যাপার টা।কিন্তু তার এই মানষিক টেনশন দুর করতে ইভার সন্ধানে চলে গেল ফারিয়ার বাসায়।ফারিয়া ইভার ফ্রেন্ড এবং কলেজে তার সাথে বারংবার কথা বলতে দেখেছে।বোধহয় ও কিছু জানে কিনা এই আশায় তার বাসায় আসা।বাসাটি খুজতে সময় লাগলেও পৌছিয়ে কলিং বেল টিপল।নির্জন লোকশুন্য একাকায় বাড়িটা।জানে কেডা কোন বাপের আমলে বিণামূল্যো এই ভাংগাচুড়া বাড়িটা পেয়েছিল।কিভাবে মানুষ এইরকম এক পরিবেশে থাকতে পারে কে জানে।না আছে আশে পাশে কোন দোকান,না ছে হাসপাতাল এমনকি ঔষধের দোকান ও নেউ।শহরের মধ্যো কে জেন গ্রামের অংশ এনে থুয়ে দিয়েছে।সমস্ত ভাবনাকে গায়েব করে দিয়ে ফারিয়া দরজা খুলল।ফারিয়াও সোহেল রানাকে পছন্দ করত কিন্তু কখনও বলতে পারে নাই।আজকে চোখের সামনে রানাকে দেখতে পেয়ে অনেক খুশি হয়ে দরজা খুলে দিল।রানা দেখল বাসায় সে একা রয়েছে।ফারিয়া বলল যে তার মা ও বাবা বাইরে কাজে গেছে এবং একথা বলে রান্নাঘরে গেল কিছু খাবার নিয়ে আসতে।ওমা একি রানার পছন্দের সকল খাবার আনা হয়েছে।কিন্তু রানার এখন কোন বিষয়ে আগ্রহ নেই।তার সুধু ইভার সন্ধান দরকার।অনেক দিন না দেখায় চিন্তিত হয়ে গেছে।দুই দিব হলেও দুই বছর মনে হচ্ছে তা।
রানা:-আচ্ছা যে কারনে এখানে আসা।তুমি ইভা কোথায় আছে বলতে পার
ফারিয়া:-না দুই দিন হল আমার সাথে দেখা আর হয় নাই কেন বলত
রানা:-আসলে এই দুই দিন না দেখায় খুব টেনশন হচ্ছে কেন জানি।প্রতিদিন কলেজে আসত কেন যে আসছে না।কিছু হয়ে গেল নাকি
ফারিয়া:-আরে নাহ।দেখ কোথায় বেরাতে গেছে হয়ত।আর টেনশন করছ কেন খামাখা একটা মেয়ের জন্য
রানা:-ও শুধু মেয়ে নয় আমার জন্য
ফারিয়া:-কেন এয়ারহোস্টার সে!!
রানা:-কথার মাঝখানে বা হাত ঢুকিও না।আসলে ইভাকে আমি অনেজ ভালবাসি।বলতে পারব না আমি তোমাকে কতটা আমি ইভাকে ভালবাসি।ওর প্রথম Hi বলার থেকেই আমি ওকে ভালবাসি
ফারিয়া:-নিস্তব্দ
রানা:-কি হল কিছু বল।বিশ্বাস হচ্ছে না বুঝি।এটাকে সারপ্রাইজ বলতে পার
ফারিয়া:-হুম।এর থেকে বড় সারপ্রাইজ আমার লাইফ এ কোনদিন পাইনি।আচ্ছা ইভার ব্যাপারে কিছু জানলে বলবানি
রানা:-আচ্ছা তাহলে আসি
ফারিয়া দরজা বন্ধ করে অনেক্ষন কাদতে থাকল।তার প্রথম ভালবাসা হারিয়ে গেল
.
.
এদিকে পরীদের রাজ্যো তান্ডব শুরু হয়ে গেছে।রাজা তার মেয়েকে তন্ন তন্ন করে খোজা শুরু করতে লাগল।রাজ্যো সবযায়গায় খবর ছরিয়ে পরল।পুরা রাজ্যো বিষন্নতা ছরিয়ে পরেছে।ইভার কোব সন্ধান পাওয়া যাচ্ছে না ভাবতেই সবার বুক কেপে উঠল।ইভার মা কাদতে কাদতে ভাশিয়ে ফেলেছে।তাকে সান্তনা দিবে নাকি ইভার বোন মেঘাকে শান্তনা দিবে।
ইভার মা:-ওগো আমদের মেয়ে ইভা কোথায় চলে গেল।তুমি তারাতারি যেখান থেকে পার আমার মেয়েটাকে নিয়ে আস।
মেঘা:-হ্যা আব্বু প্লিজ তুমি আপুকে তারাতারি খুজে বের কর।
বাবা:-আচ্ছা এভাবে মরা কান্না কাদছ কেন তোমরা
--তা কাদব না।ইভা মেয়ে আমার দুই দিন বাসায় আসে না।ও তো কোনদিনও এমন করে নাই।আমি বলছি তুমি তারাতারি সৈন্য পাঠাও
বাবা:-হতে পারে কোন অভিজানে গেছে।আচ্ছা দারাও আমি দেখছি
--দেখছি না তারাতারি কিছু কর।আমি আমার ইভাকে দেখতে চাই।
রাজামশাইক টেনশনে পরে গেছেন।সবযায়গায় এলান করা হয়েছে এমনকি জীনজগতেও এ খবর ছরিয়ে পরে।
.
.
সোহেল রানা এদিকে ইভার কলেজে যায় এবং তার ব্যাপারে কিছুই তেমন জানা যায় না।কেমন সন্দেহের সৃষ্টি হয় তার মনে।কলেজে এদিকে যার কমবেশি ইভার সাথে কথা বলে তারাও নাকি কোনদিনও ইভার বাড়ি দেখেনি।কলেজের মধ্যো তাদের বন্ধুত্তের সীমাবদ্ধ।আবার ইভা নাকি কারো সাথে বেশি কথা বলত না।চুপচাপ মেয়েটা কেমনে রানার সাথে এত কথা বলত বুঝতে পারে না।ইভার চার ফুট হাওয়ায় ভাসা,জীনের সাথে ইভার সম্পর্ক আরো যাবতীয় প্রমান রানার মনে প্রচুর সন্দেহের সৃষ্টি জাগায়।কিছুই মিলাতে পারছে না রানা।এদিকে মেঘা অর্থাত ইভার বোন রানার কাছে আসল ও ইভার ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করল এই ভেবে যদি সে কোন কিছু তার ব্যাপারে জেনে থাকে।
মেঘা:-তুমি কি ইভার ব্যাপারে কিছু জান
রানা:-কিসের ব্যাপারে?
মেঘা:-আসলে কিছুদিন তার দেখা পাচ্ছি না।খুব ভয় লাগছে তাই বল্লাম
রানা:-ভয় তো আমারো লাগছে কিন্তু আমিও তো একই ভাবে তাকে খুজছি।আচ্ছা ইভার বাসা কোথায় যান?
মেঘা কিছু না বলে হতাশা হয়ে চলে গেল।মেঘা মনে করেছিল তার বোন রানার কাছে আছে।কিন্তু সেই আশাও বিফলে গেল
.
.
জীনজগতে কেউ জানে না যে তাদের ই একজন ইভাকে আটকে রেখেছে।এদিকে ইভা অনেক কষ্টে ওখানে রয়েছে।সেই দানব টা এসে প্রতিবার তার কাছে প্রথমে ভালবাসার কথা বলে,না শুনলে অনেক কাকুতিমিনতি করে।তবুও না শুনলে অনেক মারধোর করে আর পরে নিজেকে শাস্তি দেয় ইভাকে মারার জন্য।একদিন জীনটি প্রচন্ড রেগে যায়
--তোর আমাকে ভালবাসতেই হবে।দরকার হয় জোর করে আদায় করে নিব
--পারবি না।কারন জোর করে কখনও ভালবাসা আদায় করা যায় না
--মানুষের ডায়লগ এখানে দিস না।আর হ্যা তোর রানারও এক ব্যাবস্থা করছি।অনেক ভালবাসার শখ জেগেছে না তার মনে।আমি তাকে মৃত্য দিয়ে তার নাম তোর মন থেকে মুছে দিব
--রানার গায়ে হাত দিলে আমি তোকে ছারব না।ও আমার প্রান
--হা হা হা।রানাকে তাহলে মরতে হবে
এই বলে দানবটি চলে যায়।এদিকে সেই দানবটার বোন আসে এবং ইভাকে মুক্তি করে দেয়
আগন্তক:-ভাইয়া আসার আগে চলে যাও
ইভা:-ধন্যবাদ তোমাকে।কিন্তু তোমার ভাইয়া আমার রানাকে মারতে গেছে
--সে নিয়ে তোমাকে ভাবতে হবে না।আমি রাজাকে কিছুক্ষনের মধ্যোই এই সংবাদ পৌছে দিব
ইভা আর অপেক্ষা করল না।চলে গেল তার রাজ্যো।এদিকে তার পরিবারের সবাই ইভাকে ফিরে পেয়ে অনেক খুশি হল।ইভা তার বাবাকে সম্পুর্ন ঘটনা টা জানায়।এটাও বলে কিভাবে সেই দানবটি রানাকে ভয় দেখিয়েছে।ইভা তার বাবার কাছে বিচার চেতেই তার বাবা জীনের রাজ্যো গিয়ে তার পরিচালনায় সেই দানবটির শাস্তি হয়।
এদিকে খুসিতে সে রানাকে সেই গাছটার কাছে আসতে বলে যেখানে সে প্রথম রানাকে দেখেছিল।রানা আসতেই ইভার কাছে তার সন্দেহের প্রকাশ করে।তার আসল পরিচয় জানতে চায়।এরই মধ্যো মেঘা বড় দুইটা পাখনা মেলে নিচে আসে।রানা অনেক অবাক ও ভয় পায়।ইভা বলে এটি তার ছোট বোন।আর যাবতিয় সব কথা বলে যে কখন কোথায় সে তার প্রেমে পরে
.
.....................................(চলবে)
লেখায় ভুলভ্রান্তি ক্ষমার চোখে দেখবেন। এবং পরবর্তী পোষ্টের জন্য লাইক, কমেন্ট ও শেয়ার করে সাথেই থাকুন। সবাইকে ধন্যবাদ।

0 মন্তব্য(গুলি):

Post a Comment