রোহানের আজ মন খারাপ!
কোন কথা বার্তা নেই হঠাৎ করেই রোহানের বাবা
ওর
বিয়ে ঠিক করে ফেলছেন। রোহানের সেই
ছোট বেলা
থেকে কত স্বপ্ন অনন্যা নামের কোন মেয়ে
সাথে প্রেম
করে বিয়ে করবে। অনন্যা নামটা রোহানের
কাছে অনেক
প্রিয়।কিন্তু কি আর করা যাবে অনন্যা নামের কোন
মেয়ে হয়তো রোহানের কপালে নেই । আর
রোহানের
বাবা উনি খুব রাগি মানুষ যা বলেন তাই করেন। উনার কথা
অমান্য করার মত সাহস রোহানদের পরিবারের
কারোরি
নেই। রোহানের কিছুদিন হল লেখাপড়া শেষ
হয়েছে ।
এখনো কোন জব টব পায়নি। আপাতত রোহান
একটা
কোচিং এ পড়ায় এটা দিয়েই কোন রকম ভাবে চলে
যায়
ওর। রোহানের বাবা রোহান কে শহর থেকে
গ্রামে
আনছেন মিথ্যা কথা বলে। রোহানের বাবাও ভাল
করে
জানেন সত্যিটা বললে রোহান কখনোই আসতো
না।
অতঃপর....
রোহান ওর রুমে একা বসে আছে ইতিমধ্যেই
রোহানের
ছোটবোন প্রত্যাশার আগমন গঠলো রোহানের
রুমে...
< আচ্ছা প্রত্যাশা তুই কি ঐ মহিলার নাম টা জানিস ?
( রোহান)
< কোন মহিলার কথা বলতেছো ভাইয়া?( প্রত্যাশা)
< ঐ যে মহিলা টা । (রোহান)
< আরে ভাইয়া কোন মহিলার কথা বলতেছো আমি
তো
কিছুই বুঝতেছি না? ( প্রত্যাশা )
< আরে ঐ যে যার সাথে আমার বিয়ে ঠিক করছে
আব্বা।
< ও তাই বলো, তো ভাইয়া ঐ
মহিলার নাম দিয়ে তুমি কি করবা...?( প্রত্যাশা)
< আরে কোথাকার কোন মেয়েকে বিয়ে
করবো আমি তা
জানতে হবে না আমার?( রোহান)
< হইছে তোমার না জানলেও চলবে, যা জানার
আব্বাই
জানে। আমি শুধু শুনছি ভাবি নাকি
পর্দানশীন মহিলা।(প্রত্যাশা)
< বিয়ে করার আগেই তোর ভাবি হয়েগেছে..?
(রোহান)
< হুম আজ হোক আর কাল হোক ঐ মহিলাকে
তো ভাবি বলে ডাকতেই হবে। (রোহান)
< ঐ যা ভাগ এইখান থাইক্যা তোর ভাবি
ডাকতে হবে না । (রোহান)
< হুম ঐ টা কাল - ই বুঝা যাবে ভাইয়া ( প্রত্যাশা )
< ঐ তোরে যাইতে কইছি না?? যা এইখান থাইক্যা ।
রোহান কি করবে ও বুঝতে পারছেনা। ছোট
বেলা থেকেই
রোহান কত স্বপ্ন দেখেছে ও অনন্যা নামের
কোন মেয়ের
সাথে প্রেম করবে কিন্তু তা আর হয়নি কখনো।
তারপর
রোহান চিন্তা করলো প্রেম করতে পারিনি তো
কি
হইছে ?? অনন্যা নামের কোন মেয়ে কে
বিয়ে তো করতে
পারবো। কিন্তু এখন দেখছি অনন্যা নামের কোন
মেয়ে
কে বিয়ে করাটাও হলো না। এখন রোহানের
বিরহের গান
শুনা ছাড়া আর কোন কিছু করার নেই । দেখতে
দেখতে
বিয়েটা হয়ে গেল। এখন বাসর ঘরে প্রবেশের
পালা.....
রোহানের বাসর ঘরে ডুকতে ইচ্ছা করছেনা । কি
আর করা
যাবে? বাসর ঘরে তো যেতেই হবে ঐ দিকে
আবার বউ
বসে আছে রোহানের অপেক্ষায় ...
অতঃপর রোহান বাসর ঘরে প্রবেশ করলো। তখন
বউ এসে
রোহান কে সালাম করলো এবং বললো চলেন
নামাজ টা
পড়ে নেই। রোহান বলল আমার পড়ার ইচ্ছা নাই
আপনি
পড়ে নেন।
<আচ্ছা আপনি আমায় আপনি করে বলতেছেন
কেনো.....?
( বউ)
< তো কি করে বলবো আপনাকে...? (রোহান)
< নিজের বউ কে কেউ আপনি করে বলে..?
(রোহান)
< ওহ! প্রথম প্রথম তো তাই এমন হচ্ছে ২য় বারে
ঠিক হয়ে
যাবে।(রোহান)
< ২য় বারে ঠিক হয়ে যাবে মানে ! (বউ)
< কিছুনা আপনি বলেন কি বলতে হবে
আপনাকে ???
(রোহান)
< নাম ধরে এবং তুমি বলে বলতে হবে। (বউ)
< ওকে কিন্তু আমি তো তোমার নাম জানিনা.?
< ওকে এটা কোন ব্যাপার না আমি অনন্যা এখন মনে
থাকবে তো????(বউ)
< এই তুমি সত্যি বলতেছো!!! তোমার নাম অনন্যা
..????
(রোহান)
< হুম মিথ্যা বলবো কেনো?? এটা শুনেই রোহান
অনন্যা কে
জড়িয়ে ধরলো,আজ রোহানের মনে হচ্ছে
আল্লাহ
তায়ালা মনে হয় রোহানের মনের কথা শুনছেন
এতদিন পর।
রোহান আরো শক্ত করে অনন্যা কে জড়িয়ে
ধরলো হঠাৎ
রোহানের ফোনটা বেজে উঠলো...........
..............
অতঃপর......
কি হলো অনন্যা কই গেলো.!!!!? আর অনন্যার
যায়গায় এই
বালিশ টা কইথাইক্যা আসলো আমি তো কিছুই বুঝতে
পারছি না!!!!
অতঃপর বুঝতে পারলাম বিষয়টা, হে আল্লাহ তুমি আমার
মনের কথা শুনতে পাইয়্যাও অনন্যার যায়গায় বালিশ ধরাই
দিলা.....???