ভালবাসার গল্প বাংলা love story bangla

This is default featured slide 1 title

Go to Blogger edit html and find these sentences.Now replace these sentences with your own descriptions.This theme is Bloggerized by Lasantha Bandara - Premiumbloggertemplates.com.

This is default featured slide 2 title

Go to Blogger edit html and find these sentences.Now replace these sentences with your own descriptions.This theme is Bloggerized by Lasantha Bandara - Premiumbloggertemplates.com.

This is default featured slide 3 title

Go to Blogger edit html and find these sentences.Now replace these sentences with your own descriptions.This theme is Bloggerized by Lasantha Bandara - Premiumbloggertemplates.com.

This is default featured slide 4 title

Go to Blogger edit html and find these sentences.Now replace these sentences with your own descriptions.This theme is Bloggerized by Lasantha Bandara - Premiumbloggertemplates.com.

This is default featured slide 5 title

Go to Blogger edit html and find these sentences.Now replace these sentences with your own descriptions.This theme is Bloggerized by Lasantha Bandara - Premiumbloggertemplates.com.

Showing posts with label ভালোবাসা. Show all posts
Showing posts with label ভালোবাসা. Show all posts

Wednesday, August 16, 2017

এই সাগর কানে কানে একটা কথা শুনে যাও....

--এই সাগর কানে কানে একটা কথা
শুনে যাও....
সাগর সাহেব অফিসের ফাইল রেখে
এগিয়ে আসলো আমার দিকে
--বলো কি বলবা।কানে কানে না
বললেও হবে এই রুমে তুমি আমি ছাড়া
আর কেউ তো নেই তাইনা।
--আসো তো। আমি কানে কানে বলবো
--আচ্ছা বলো
--বলছি যে....
--আআআআআআআআওও।উফ স্নেহা
তোমাকে না কতবার বলেছি আমার
সাথে ফাজলামি করবানা। তুমি বড়
হবা কবে বলোতো।এভাবে কামড় দেয়
কেউ!
--হিহিহিহি
--ঠাস.....অসভ্য মেয়ে।বের হয়ে যাও এই
রুম থেকে।
চোখদুটো গোল গোল করে সাগরের
দিকে তাকিয়ে রুম থেকে বের হয়ে
আসলাম।এনাকে আর ভালবাসা
শেখাতে পারলাম না। বড্ড লেগেছে
গালে।দরজার ওপাশে গিয়ে সাগর
সাহেবকে লক্ষ্য করছি।
উনি ফ্লোরে বসে পড়লেন। আমি যে
কানে কামড় দিয়েছিলাম সেখানে
হাত রাখলো। যেন কিছু একটার স্পর্শ
নিচ্ছে। কিন্তু একি ও কাঁদছে কেনো!
দুইমিনিট পার হয়ে গেল প্রিয়তম এখনো
কাঁদছে। আমার কি করা উচিত? ওর
কাছে গিয়ে বলবো নাকি --আমি কষ্ট
পাইনি। তুমি চাইলে আরেকটা
মারো।"কিন্তু আমার গালেও হেব্বি
ব্যথা লেগেছে।
এর প্রবলেম কি বুঝি না। এর বাবা মা
বোন সবাই আছে।আমার মত পাগলী
একটা বউ আছে। কিন্তু এ তো দেখি
কারো সাথেই মিশে না। আমাকে
বিয়ে করে এনেছে পাঁচমাস হতে
চললো কিন্তু আমার সাথে কথা বলতেও
যেন ওর কোথায় কষ্ট হয়। একটু পাগলামী
করেছি তাই এমন জোরে থাপ্পড়।একবার
হাতটা একটু টাচ করেছিলাম ওরে
বাবা কি ভয়ানক লুক নিয়ে
তাকিয়েছিল আমার দিকে। ভাগ্যিস
বেশি কিছু করতে যাই নি। নাহলে
এতক্ষণে পেটে ছুরি চালিয়ে দিত।
বাট বেটা এখন কাঁদছে কোন দুঃখে।
কাঁদা তো আমার উচিত।এমন একটা বর
জুটেছে আমার কপালে। মাঝে মাঝে
সন্দেহ হয় অন্য কোনো জেন্ডারের না
তো আবার? চেহারা মাশাল্লাহ।
চেহারা দেখে তো মনে হয় ছেলেই
হবে।বাট আমার সাথে এমন করে কেন!
.
উঁকি দিলাম রুমে। সাগর সাহেব এখনো
মাথা নিচু করে কাঁদছে।এর ব্যাপার
কি বুঝছি না। আস্তে আস্তে এগিয়ে
গেলাম ওর দিকে।সামনে যেয়ে ডাক
দিলাম।
--এই যে শুনো...
সাগর সাহেব চোখ তুলে তাকালো
আমার দিকে। চোখদুটো টমেটোর মত
লাল হয়ে আছে। আমার হাসি পাচ্ছে।
কিন্তু এখন হাসলে অবস্থা খারাপ হয়ে
যাবে।ও আমাকে ওর কোলের উপর
বসালো।একদৃষ্টিতে দেখছে আমাকে।
যে গালে মেরেছে দৃষ্টি ওখানে
প্রখর।কিছু না বলেই জড়িয়ে ধরে
কেঁদে উঠলো আবার।এই প্রথম কেউ
আমায় বুকে জড়িয়ে ধরে আছে।সেইরাম
ভালো লাগছে।বাট কান্নাকাটি
করছে বলে ততটা ভালো লাগছে না।
জড়িয়ে রেখেই...
--স্নেহা...!
--হুম বলো।
--আমি না ছোট থেকে কারো সাথেই
তেমন মিশি নি।বাবা মা দুজনই চাকরি
নিয়ে ব্যস্ত থাকতো।বড় বোন কারণে
অকারণে ঝগড়া করতো। টাকার অভাব
ছিল না কখনো। অভাব ছিল একটু
ভালবাসার,পরিবারের একটু মিষ্টি
শাসনের,পরিবারের সাথে একটু সময়
কাটোনোর।যখন যেটা মনে হয়েছে
করেছি। কারো অনুমতি নেওয়ার দরকার
হলেও কেউ অনুমতি দেওয়ার সময়
পায়নি।সব কিছু থাকার পরও পরিবারের
ভালবাসার অভাব ছিল।টাকা দিয়ে
এসব পূরণ করা সম্ভব ছিলনা। বড় হয়ে
ফ্রেন্ড হলো কয়েকটা যাদের জন্য
জীবনও দিতে পারি কিন্তু তাদের
সাথেও ভালমত মিশতে পারি নি।
বাবা মা এখন আমাকে ওদের কাছে
রাখতে চায় কিন্তু আমার আর থাকতে
ইচ্ছে হয়না। ছোটবেলায় যে
ভালবাসা পায়নি সেটা এখন পেয়েও
দূরে থাকতে ভালো লাগে। সবার
কাছে নিজেকে খারাপ বানানোর
চেষ্টা করি।কিন্তু কেন জানি কেউ
আমায় খারাপ বলে না। হয়তো করুণা
করে ভালো বলে।
এতক্ষণ কথাগুলা শুনছিলাম মন দিয়ে।
গলা শুকিয়ে গেছে আমার। কখন থেকে
জড়িয়ে ধরে আছে গরম লেগে যাচ্ছে।
গালে চিনচিনে ব্যথা করছে। মনে
সাগরের জন্য সুখ সুখ ব্যথা হচ্ছে।
ছেলেটার কত কষ্ট।ওর কষ্টের কাছে
আমার এই কষ্ট কিছুই না। আমার কেনো
জানি ঘুম পাচ্ছে।
--স্নেহা শুনছো তুমি..
--হুম
--কখনো প্রেমে জড়ায়নি। কারণ আমি
ভালবাসতে পারি না।ভালবাসতে
শিখি নি।আমার প্রতি তোমার
ভালবাসা তোমার পাগলামী দেখে
একটু একটু শিখেছি ভালবাসতে। আমি
তখন তোমাকে মারতে চাই নি
বিশ্বাস করো। আমার খুব কষ্ট লাগছিল।
আমাকে কেউ কখনো ভালোবাসে নি।
তুমি ভালবেসেছো কিন্তু সেই
তোমার গায়েই মারলাম আমি! আমি
আসলেই খারাপ
--হুম। এখন যেখানে মেরেছো
সেখানে গুনে গুনে তেত্রিশটা চুমো
দাও তাহলেই হবে।
সাগর আমার কথা শুনে ভড়কে গেছে।
আমাকে তুলে বিছানায় বসালো।
আমার খুব ঘুম পাচ্ছে।গলা শুকিয়ে
গেছে।
--সাগর আমাকে একটু পানি খাওয়াও
না প্লীজ।
--এই নাও...
পানি খেয়ে শুয়ে পড়লাম। খুবই ঘুম
পাচ্ছে। সাগর বললো
--স্নেহা তুমি আমাকে তেত্রিশটা
চুমো দিতে বললে কেনো?
--কারণ তিন সংখ্যাটা আমার জন্য
লাকি তাই।
--তাহলে শুরু করি...
--হুম লজ্জা পাচ্ছো কেন?আমি তোমার
বউ লজ্জার কিছু নেই।লাইট দিয়ে
গালে কি দেখছো?
--ইশ গালটা লাল হয়ে গেছে।
উম্মাহ...................
.
দশটা চুমো গুনার পরই ঘুমের রাজ্যে
হারিয়ে গেলাম।ঘুম ভাঙলো সাগরের
ডাক শুনে। চোখ মেলে চারিদিকে
তাকিয়েই আমার চোখ কপালে উঠে
গেল।কি রোমান্টিক ভাবে
সাজানো হয়েছে রুমটা।আমার প্রিয়
লাল রংএর মোমবাতি জ্বলছে।
ফুলদানিতে লাল গোলাপ ফুল। ওহ একটা
গানও বাজছে। আমার প্রিয় গান
"দিলমে ছুপা লুং গা"।এটা স্বপ্ন নয়তো
আবার!
--সাগর......
--হুম স্নেহা!
--এটা কি সত্যি? নাকি স্বপ্ন দেখছি?
এতসব কখন করলে তুমি?
সাগর আমার ঠোঁটে ছোট্ট একটা চুমু
একে দিল।অনুভব করলাম সেটা।এটা আর
যাই হোক স্বপ্ন হতে পারে না।
--স্নেহা....!
--হুম
--আমি ভালবাসতে শিখে গেছি
স্নেহা.....
মনে মনে ভাবছি বউকে একটা থাপ্পড়
দিয়েই ভালবাসা শিখে গেল
বেচারা!!ওহ ভুলেই গেছি তার জন্য তো
কানে কামড় দিতে হবে।
.

Sunday, August 13, 2017

তুমি যে আমার ভালোবাসা

বসুন্ধরা সিটিটা কেন জানি আমার সব
সময়ই একটু
অস্বস্তিকর লাগে । ঠিক মানিয়ে
নিতে পারি না ।
এতো লোক, এতো হইচই ! আমার ঠিক
ভাল লাগে
না !
কিন্তু আজকে এতো কিছুর কিছুই যেন
আমাকে
স্পর্শ করছে না । এতো লোক জনের
ভিতরেও
আমার সব মনযোগ কেবল মাত্র সুমির
দিকেই
নিবদ্ধ !
ঐ তো দেখা যাচ্ছে । নিশ্চয়ই ওর কোন
বান্ধবীর কিংবা বন্ধুর সাথে
এসেছে !
গায়ে সাদা এপ্রোনটা এখনও জড়িয়েই
আছে !
নিশ্চয়ই ক্লাস থেকে সরাসরি এসেছে !
আচ্ছা ও কি ডাক্তার হয়ে গেছে ?
আমি একটু পেছনের কথা হিসাব করার
চেষ্টা করলাম
। কয় বছর হবে !
তিন বছর ?
নাকি চার বছর ?
চার বছরই হবে । নাহ ! এখনও মনে হয়
পুরোপুরি
ডাক্তার হয় নাই ! আমি নিজের চোখ
সরিয়ে নিতে
চাইলাম । কিন্তু কেন জানি পারলাম
না !
তাকিয়েই আছি সুমির দিকে !
ডাক্তার সুমি !
-সরি ! একটু লেট হয়ে গেল !
আমি বাস্তবে ফিরে এলাম ! অহীন
সামনে দাড়িয়ে !
-বেশি দেরি করে ফেলেছি ?
আসলে আমার মুখটা একটু গম্ভীর ছিল
বিধায় অহীন
মনে করেছে আমি মনে হয় রাগ
করেছি !
আমি মুখে হাসি আনার চেষ্টা করলাম !
বললাম
-আরে সমস্যা নাই ! আমিও মাত্রই
এসেছি ! এদিক
ওদিক দেখছিলাম !
অহীন আমার সামনের চেয়ারটা টেনে
বসলো !
খানিকটা ইতস্তর করে বলল
-আপনি কিছু মনে করেন নি তো ?
-কোন ব্যাপারে ?
-এই তো আপনাকে এখানে দেখা
করতে বললাম
বলে ! আপনি ছুটিতে আছেন তবুও
আপনাকে
বিরক্ত করলাম !
অহীন আমার কলিগ । প্রায় এক বছর ধরে
আমরা
একসাথে কাজ করতেছি ! মেয়েটা
ভাল ! দেখতে
শুনতেও ভাল ! শুধু ভাল না বেশ ভাল !
অফিসের
অনেকেই বলা বলি করে এই মেয়েটা
নাকি
আমাকে পছন্দ করে ! কিন্তু মুখ ফুটে কিছু
বলে
না ! আমি ঠিক জানি না ! কিন্তু গত
কালকে অহীন যখন
আমাকে ফোন করে দেখা করতে
চাইলো একটু
অবাক হলাম ! অফিসের বাইরে
আমাদের দেখা করার
মত এতো ঘনিষ্ঠতা এখনও হয় নাই ! যদিও
অফিসে
আমার কথা বার্তা হয় প্রায় !
আমি অহীনের মুখের দিকে তাকিয়ে
একটা জিনিস
লক্ষ্য করলাম । মেয়েটার মুখ কিছু
সংকুচিত হয়ে
আছে লজ্জায় !
তার উপর মেয়েটা বেশ জেগে গুজে
এসেছে !
আমি বললাম
-আপনাকে দেখতে সুন্দর লাগছে !
আপনি এতো
সুন্দর আগে তো লক্ষ্য করি নি ?
এই কথা বলাতে দেখলাম অহীনের
মুখটা আরো
বেশী লাল হয়ে গেল ! অন্য দিকে
তাকিয়ে বলল
-কোন দিন তো বলেন নি ?
-আপনিও তো আমাকে কোন দিন এই
ভাবে লাঞ্চ
খাওয়ার দাওয়াত দেন নাই ?
-বাহ ! সব কিছু আমাকেই করতে হবে ?
আমি কথাটার জবাব দিতে গিয়েও
দিলাম না ! চোখটা
আবার চলে গেছে সুমির দিকে ! এখনও
বন্ধুদের
সাথে হাসাহাসিতে ব্যস্ত !
আচ্ছা ওর কি কোন বয়ফ্রেন্ড আছে ?
নিশ্চয়ই আছে ! কোন ডাক্তার বয়ফ্রেন্ড
হবে
হয়তো ! আমাকে তো তাই বলেছিল !
যখন সিলেটে ছিলাম তখনই সুমিকে
চিনি । ও যখন
কলেজে পড়ে তখন থেকেই ওর সাথে
একটা
মিষ্টি সম্পর্ক ছিল ! প্রায়ই দিনে আমি
ভার্সিটির ক্লাস
কামাই দিয়ে ওর কলেজের সামনে
এসে দাড়িয়ে
থাকতাম । ও ঠিক কয়েকটা ক্লাস মিস
দিয়ে বের হয়ে
আসতো ! তারপর ঘন্টা হিসাব করে
রিক্সায়
ঘোরাঘুরি ! কোন দিন কাছের কোন চা
বাগানে
সময় কাটানো !
সুমির ডাক্তার হওয়ার বড় ইচ্ছা ছিল !
স্বপ্ন দেখতো
বড় একজন ডাক্তার হবে । এই জন্য সব কিছু
সে
বিষর্জন দিতে প্রস্তুত ! এই সব কিছুর
ভিতর যে আমি
নিজেও ছিলাম এটা বুঝতে পারি নি !
-কি ভাবছেন ?
-কিছু না ! কিছু খাবেন না ? লাঞ্চের
সময় হয়ে
যাচ্ছে ।
অহীন একট হেসে বলল
-আম তো বলেছি আমি খাওয়াবো !
টেনশন
নিয়েন না !
-আরে আমি টেনশন নিচ্ছি না ! আর
আমার কোন
কাজও নাই । আমি সারাদিনই এখানে
থাকতে পারবো !
-তাই ? থাকবেন আজকে আমার সাথে
সারা টা দিন ?
বসুন্ধরার পাশে যে লেইকটা আছে না !
ওটা আমার
খুব পছন্দের জায়গা ! এখানের পরে
ওখানে
যাবেন ?
-হুম ! যাওয়া যায় !
আরো কথা হতে থাকে আমাদের
ভিতর ! কিন্তু মনটা
কেন জানি সুমির দিকেই পরে থাকে !
সুমির হাসির
আওয়াজ কেন জানি কানে বাজতে
থাকে ! তারমানে
ও খুব সুখে আছে ?
আমি ?
আমিও ভাল আছি !
হুম ! আছিই তো ! কোন দুঃখ নাই ! ও যেমন
আমাকে ছেড়ে থাকতে পেরেছে
আমিও
পারবো না কেন ? ওর কথা মনে করাই
উচিৎ না !
অহীন বলল
-কি হল ? আপনার মন অন্য দিকে কেন ?
আমার সাথে
কথা বলতে ভাল লাগছে না !
-আরে কি বলেন ! আমার মন অন্য দিকে
না !
-আচ্ছা বুঝেছি ! আসুন আগে লাঞ্চ করা
যাক !
অহীন অর্ডার দিতে দিতে আমি এক
ওয়াস রুম দিকে
পা বাড়ালাম !
ওয়াস রুম থেকে বের হব এমন সময় সুমির
সাথে
দেখা হয়ে গেল ! সুমি ওয়াস রুমের ঠিক
সামনেই ও
দাড়িয়ে ছিল ! আমার কেন জানি
মনে হল ও আমার
জন্যই দাড়িয়ে ছিল ! প্রথম দেখা হলে
একটা অবাক
হওয়ার ভাব থাকে সুমি চেহারায়
সেটা ছিল না । তারমানে
আমি যেমন ওকে দেখেছি ঠিক সুমিও
আমাকে
দেখেছে আগেই !
আমি ওকে দেখেও না দেখার ভান
করে চলে
যেতে চাইলাম !
-অপু ?
নামটা এখনও মনে আছে দেখছি !!
যেদিন সুমির মেডিক্যাল ভর্তির
রেজাল্ট দিল সেদিন
ওর আনন্দ দেখে কে ! একদম মেধা
তালিকার
প্রথম দিকে !
আমার সাথে ওর আর দুই দিন পরে দেখা
হল ! এই
কয় দিন ও একটুও সময় বের করতে পারে
নাই !
আমরা রুপরংর টি স্টলের ভিতর
হাটছিলাম ! সুমিকে একটু
গম্ভীর মনে হচ্ছিল ! আমি হাটতে
হাটতে বললাম
-আজিব তো ! মানুষ রেজাল্টের আগে
টেনশন
করে আর তুমি রেজাল্টের পরে টেনশন
করতেছ ? কি ব্যাপার ? এতো গম্ভীর
কেন ?
সুমি প্রথমে কিছু না বললেও একটা
জায়গায় চুপ করে
বসে রইলো কিছুক্ষন ! ওর মুখ দেখে মনে
হল
কিছু একটা যেন বলতে চায় আমাকে !
কিন্তু বলতে
পরছে না ! আমি বললাম
-কিছু বলবা আমাকে ?
-হুম !
-বল !
-তুমি তো জানো আমি আমার
ডাক্তারীর পেশার
জন্য কতটা সিরিয়াস ?
-হুম ! জানি তো !
-আমার আর ডাক্তারীর মাঝে যেটাই
আসুক না কেন
আমি সব সময় ডাক্তারীকেই বেছে
নিবো !
-হুম আমি জানি ! সমস্যা কি ?
-অপু ! তুমি এখন আমার পথের বাঁধা হয়ে
আছো !
আমি প্রথমে কিছুক্ষন বুঝতে পারলাম
না কি
বলবো ! আমি ঠিক মত বুঝতেও পারলাম
না যে আমি
কিভাবে বাঁধা হয়ে দাড়াচ্ছি !
সুমি বলল
-দেখো, আমার মনে হয় তোমার সাথে
আমার
আর সম্পর্ক রাখা সম্ভব হবে ! একে তো
পড়া
লেখার চাপ তার উপর তুমি তো জানো,
ডাক্তাদের
সব সময় ডাক্তাদের সাথেই বিয়ে করা
উচিৎ ! তা না
হলে পরে অনেক সমস্যা হয় । আমি চাই
না এমন
সমস্যা হোক আমাদের ! তার চেয়ে ....
সুমি আরো কিছু বলছিল আমার কেন
জানি আর কিছু
কানে গেল না !
কেবল একটা কথাই ! আমি নাকি ওর
পথে বাঁধা ! ওর
লক্ষ্যের পথে বাঁধা !
তারপর সুমির সাথে আমার আর দেখা হয়
নি ! মোবাইল
থেকে ওর নাম্বার আর মেসেজ সব মুছে
দিয়েছি ! নাম্বারও বদলে ফেলেছি !
সম্ভাব্য যার যার
সাথে যোগাযোগ রাখলে ওর সাথে
আবার দেখা
হবার সম্ভাবনা ছিল এমন সবাইকেই বর্জন
করেছি !
এই চার বছর ভালই ছিলাম ! একটা বারও
ওর সাথে দেখা
হয় নাই !
আমি তবুও না শোনার ভান করে চলে
আসতে
চাইলাম !
-অপু ?
-আপনি আমাকে কিছু বলছেন ?
সুমি কিছুক্ষন একটু অবাক হল ! আসলে ও
ঠিক আমার
কাছ থেকে এমন আচরন আশা করে নাই !
সুক্ষ
একটা অপমান বোধের রেখা দেখতে
পেলাম
-অপু ! আমি ?
-আপনি ?
সুমি কথা হারিয়ে ফেলল !
-কিছু বলবেন ? বললে তাড়াতাড়ি বলুন !
আমার
গার্লফ্রেন্ড ওয়েট করছে !
-গার্লফ্রেন্ড ! তোমার গার্লফ্রেন্ড ?
-কেন ? কোন সমস্যা ?
সুমি এই কথার জবাব দিল না !
-দেখুন আমি ডাক্তার না হতে পারি
তবে আমি কম টাকা
ইনকাম করি না !
আমি ..........
আরো কিছু বলতে গিয়েও থেমে
গেলাম ।
নিজেকে একটু সামলালাম ! কিন্তু
অবাক হয়ে লক্ষ্য
করলাম সুমি কে দেখে কেন জানি
আমার খুব রাগ
হচ্ছে !
আমি বললাম
-আমি আসি !
-কি ব্যপার ? এতো গম্ভীর কেন ?
আমি হাসার চেষ্টা রকলাম ! কেন
জানি রাগটা এখনও
কমছে না ! কি করলে কমবে ?
আমি অহীনের দিকে সরাসরি
তাকিয়ে বললাম
-আপনি আমাকে বিয়ে করবেন ?
বলেই মনে হল কি বললাম !!
কেন বললাম ?
আসলে হুস হারিয়ে ফেলেছি ! কি
বলছি ঠিক বুঝতে
পারছি না !
অহীন কেবল আমার দিকে অবাক হয়ে
তাকিয়ে
রইলো কিছুক্ষন ! মুখে একটা অবাক হওয়ার
চিহ্ন !
-কি হল ?
-আপনি কি সিরিয়াস ?
-জি সিরিয়াস ! কররেন ? আজই ?
-আজই ?
-রাজি না থাকলেও বলতে পারেন
কোন সস্যা নাই !
অহীন আমার দিকে সত্যি বেশ অবাক
হয়ে তাকিয়ে
রইলো ! আমাকে যেন চিন্তে পারছে
না বা
বহুদিনের পরিচিত আমাকে যেন ঠিক
চিনতে পারছে
না ! আমি অহীনের দিকে তাকিয়ে
বললাম
-কি রাজি না ?
-আমি কি বলেছি আমি রাজি না ?
-তাহলে চলুন লাঞ্চ করেই বিয়ে করে
ফেলি !
তবে একটা শর্ত !
-কি !
-এই লাঞ্চের বিল কিন্তু আমি দিবো
না ! এটা কিন্তু
তোমাকেই দিতে হবে !
-আচ্ছা !
অহীন হেসে ফেলল ! বলল
-ঠিক আছে দিচ্ছি ! তারপর কাল
থেকে সব কড়ায়
গন্ডায় উসুল করবো কিন্তু !!
যখন রিক্সাটা কাজী অফিসের দিকে
যাচ্ছিল আমি
কেবল অনুভুব করলাম অহীন আমার হাত
ধরে
রেখেছে ! ওর চোখে একটা অজানা
আনন্দ !
হঠাৎ করেই আমাকে পাওয়ার আনন্দ !
আমার বুকের ভিতরেও একটা অজানা
ভাল লাগা ছিল !
এতো দিন কেবল মনে হয়েছে আমি
সুমি ভালবাসি !
আজকে আমার সেই ভুল ভেঙ্গেছে !
আমি
ওকে ভালবাসি না । আমার ভালবাসা
পাওয়ার যোগ্যতা ওর
নেই, আসলেই নেই !