ভালবাসার গল্প বাংলা love story bangla

Wednesday, August 16, 2017

>}} পরীর সাথে প্রেম{<< রহস্য বড় গল্প লেখকঃ কাজি মেহেরাব হোসেন পর্ব ৩

.
.
নিজের রাজ্যো ফিরে এসে ইভা খাওয়া দাওয়া সব ত্যাগ করে দিল।সবসময়ই মনের মধ্যো এক বিষন্নতা কাজ করে চলেছে।তার সবসময় রানার কথা মনে পরে।কিন্তু রানার ভয়ের কারন সে হতে চায় না।সে পরীর দেশের রাজার মেয়ে একথাটাকি রানা বুঝতে পেরে গেছে।নাহ আর কিছু মাথায় আসছে না।এবার যাইহোক সে খুজে বার করবেই ব্যাপারটা কি।এদিকে সোহেল রানা ও ঠিক মত খাবার খাচ্ছে না বাড়ি হতে বের হচ্ছে না।এর কারন ভয়।রানা সবসময়েই ভয়ে ভয়ে চলে এমনকি ঠিকমত কলেজেও যাচ্ছে না।ঘরের কাউকে সে কিছু বলছেও না।সবাই চিন্তায় পরে যায়।একদিন পরিবারের সবাই এসে রানাকে এর কারন জিজ্ঞাসা করে
মা:-কি হয়েছে তোর বাবা।আমাকে বল তুই এরকম কেন করছিস।কোন সমস্যা থাকলে পরিবারের কাছ থেকে লুকাস না
রানা:-মা শুধু শুধু টেনশন করছ এমন কিছু নয়
বাবা:-কিছু না তবে খাওয়া দাওয়ায় অবহেলা দিচ্ছিস কেন?কেনই বা বাসা থেকে বের হচ্ছিস না।যে ছেলে কলেজে না গিয়ে থাকতে পারে না সে আজ ৮ দিন কলেজে যায় নি।বন্ধুরা এসে ফিরে গেছে তাও বাইরে যাচ্ছিস না।আর সবসময় এক উদাস ভাব স্পষ্ট দেখা যায় তোর চেহারায় বল বাপ কি হয়েছে তোর
রানা:-ওহ কোন কিছু নয়।কি বলব বাবা কিছুদিন যাবত অলস হয়ে পরেছি।আলসামির ভুত চেপেছে মনে হয়।টেনশন নিও না কাল হতে আবার তোমারা তোমাদের পুরান রানাকেই পাবে
বাবা:-তাই যেন হয়।তোর চিন্তায় আমি আর তোর মা অস্থির হয়ে গিয়েছি
মা:-শুয়ে পর বাবা রাত অনেক হয়েছে।কাল কলেজ আছে আর আমি কলেজে তোর ছুটির আবেদন করেছি।তাই ঘুমিয়ে পর
রানা:-আচ্ছা আম্মু
.
.
রানা তার মা-বাবা কাউকেই কিচ্ছু জানায় নেই।তার এসবের কারন আলসামি মোটেই নয় বরং তাদেরকে হারানোর ভয় কাজ করছে।এই ভয় আজকের নয় প্রায় ১০-১৫ দিন আগে এক অন্ধকার রাতে রানা বাসায় ফিরে আসছিল।রানা তার এক বন্ধুর বাসায় নোট নিতে গিয়েছিল।ফিরতে গভীর রাত হয়ে যায়।রাত তখন ১২ টা বাজে।রানা এমনিতেই ভিতু তার উপর চুপচাপ এলাকা।৪ কিলোমিটার পর্জন্ত কারো পায়ের জুতা পর্জন্ত নেই।রাত্রে সেই ফ্রেন্ডস দের বাসায় থাকার প্লান ছিল কিন্তু তাদের বাসায় মেহমান থাকায় অগত্যা কিছুই বলা হল না।আর প্রেস্টিজ হারানোর ভয়ে এগিয়ে দেওয়ার প্রস্তাব টাও নিল না।একটা মুচকি হাশি দিয়ে চলে আসল।রানার বাসা থেকে তার সেই ফ্রেন্ডের বাসা ২ কিলো।একা একা রাস্তায় হাটছে এর মধ্যো দেখল রাস্তার ধারে এক মহিলার লাশ পরে আছে।কি করবে বুঝে উঠতে পারছিল না।দৌর দিবে এমন সময় তার মনে হল এই মহিলাকে সে চেনে।না একবার মুখ দেখলে সমস্যা নেই।কিন্তু সে যখন মহিলাটির মুখ দেখল তার মাথায় যেন আকাশ ভেংগে পরল।চারদিকে অন্ধকার ছেয়ে গেল।মহিলাটি আর কেউ না তার মা।অনেক কাদতে ইচ্ছা হলল কিন্তু তার হৃদয় স্তব্ধ হয়ে গেল।মাকে সামাল দিতে গিয়ে দেখে কিছুদুর তার বোন আর বাবার প্রানহীন শরীর পরে আছে।সে বুঝে উঠতে পারছিল না যে তার সাথে কি হচ্ছে।ঠিক এমন সময় এক ভয়ংকর রুপি দানব তার সামনে এসে হাজির হল।আর হটাত করেই রানার পরিবারের সব সদস্যদের লাশ গায়েব হয়ে গেল।রানার মনে তখন ভয়ের বদলে বদলা নেয়ার নেশা উঠে গেল।যদি নিজের প্রান চলে যায় তাও কোন সমস্যা নেই।
.
.
এদিকে সেই দানব টি তার দিকে আসতে থাকে।রানা চিতকার দিয়ে ওঠে।তার গর্জনে যেন বাড়ি কেপে উঠল
রানা:-কেন আমার পরিবারের লোকজনকে মেরেছ কি ক্ষতি করেছিল তারা
দানব :-ভয় পেয়ে গেছ।আমি তোমার পরিবারকে মারি নেই।তবে নমুনা দিলাম যদি কথা না শোন তাহলে মেরে ফেলব
রানার মনে তখন হাল্কা শান্তি পেল যে তার মা বাবা বেচে আছে
রানা:-কি কথা
দানব:-ইভার কাছ থেকে দুরে থাক।ইভার ধারেকাছে আসলেই আমি তোমার পরিবারের কাউকে বাচতে দেব না।মনে রেখ কথাটা
এই বলে দানবটি উধাও হয়ে গেল।এদিকে রানার মনে হাজার প্রশ্ন কাজ করছে।ইভা কে আর তার এই ভয়ংকর দানবটার সাথেই বা কিসের সম্পর্ক।কিন্তু এখন এসব ভাবার সময় তার হাতে নেই।এক দৌড়ে বাসায় পৌছে যায়।মা-বাবা আর বোনটাকে দেখতে পেয়ে তার জান ফিরে আসে।জরিয়ে ধরে কাদতে ইচ্ছা করে কিন্তু তাদের কিছুই না জানিয়ে রুমে গিয়ে শুয়ে পরে।আর তখন থেকে পরিবারের ক্ষতির কথা ভেবে প্রেমের কোরবানি করে।
.
রানা পরেরদিন থেকে স্বাভাবিক ভাবে চলাচল করে আগের মতই সাধারন ভাবে চলতে শুরু করে।কারন রানা তার মা-বাবাকে চিন্তার মুখে ফেলে দিতে রাজি নয়।কিন্তু হটাতই ইভার সাথে দেখা হয়।এবার ইভা তাকে সত্য কথা না বললে কিছুতেই যেতে দিবে না।
ইভা:-রানা তুমি এরকম কেন করছ।আমি তোমাকে অনেক ভালবাসি।তাই তোমার অবহেলা আমাকে তিল তিল করে মারছে।আজকে তুমি আমাকে এর কারন না বলে কিছুতেই যেতে পার না।বলতেই হবে আজ
রানা:-দেখ আমি এই মুহুর্তে তোমাকে কিছুই বলতে পারব না।আর চলে যাও এখান থেকে তারাতারি।
ইভা:-তুমি কেন এসব করছ কি দোস করেছি আমি।(কাদো কাদো কন্ঠে)
রানা:-এখন সময় নেই আমার আমি যাই
আর কিছুক্ষন থাকলে হয়ত রানা কেদেই ফেলত।ইভা চলে যাবে সেই মুহুর্তে রানার কান্নার আওয়াজ পেল।দুর।থেকে শুনতে পেল রানা বলছে
:-আমি তোমাকে অনেক ভালবাসি।কিন্তু দয়া করে আমাকে ক্ষমা করে দাও।আমি যে আমার মা-বাবাকে হারাতে পারব না।এ কথা বলে অনেক কাদতে থাকে।ইভা তখন আবার নিজ রাজ্যো ফিরে যায় এর রহস্য বের করতে।এদিকে রানার অদ্ভুদ রকমের জ্বর আসে।কোন ডাক্তারই এ রোগের কথা জানতে পারল না।অনেক রকম পরিক্ষা আর বিখ্যাত ডাক্তার দেখায়েও কোন লাভ হল না।রানা বুঝতে পারল যে তার দিন শেষ।সে কিছুদিন এই পৃথিবীকে শেষ দেখা দেখতে চাইল।
.
.
এদিকে ইভা অসুখের খবর জানতে পেয়ে তার জাদু দিয়ে অনেক কষ্টে ঔষধ বানালো।এবং ডাক্তার সেজে তাকে পরম যত্নে খাইয়ে দিল।রানা আচমকা ঠিক হয়ে গেল এবং রানার জীবন বাচানোর জন্য মেয়েটির উপর তার বাবা-মা কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করল।ইভা তখন রাজ্যো ফিরে তার বাবার সাহাজ্যো জানতে পারল যে এই কাজ টা জীন জগতের এক জীনের কাজ যে তাকে আগে অনেক ভালবাসতো।কিন্তু ইভা তাকে পাত্তা দিত না।তাও জীন টি তাকে সমানে ভালবেসে গিয়েছে কিন্তু যখন সে ইভার সাথে অন্য একজনকে দেখেছে রাগে তখন ফেটে পরেছে।একজন সাধারন মানুষ তার ইভাকে ভালবাসে এটা কিছুতেই মানা যাবে না।তাই সে এ কান্ডটি করেছে।এ কথা জানার পরেই কাউকে কিছু না বলেই ইভা চলে যায় সে জীনের কাছে।রাগে সে।আক্রমন করে কিন্তু শক্তিশালি জীন ইভাকে পরাস্থ করে আর তাকে নিজ রজ্যো এক গুহায় বন্দি করে ফেলে
.
..................................(চলবে)
.
.
পরবর্তী পর্ব পড়তে লাইক কমেন্ট ও শেয়ার করে সাথে থাকুন।

0 মন্তব্য(গুলি):

Post a Comment