ভালবাসার গল্প বাংলা love story bangla

Wednesday, August 16, 2017

♡ পরীর সাথে প্রেম♡《 রহস্য বড় গল্প লেখকঃ কাজি মেহেরাব হোসেন পর্ব ৬ (শেষ পর্ব)

》♡ পরীর সাথে প্রেম♡《
রহস্য বড় গল্প
লেখকঃ কাজি মেহেরাব হোসেন
পর্ব ৬ (শেষ পর্ব)
.
.
ইভা ভয় পেল না।ইভা সেই দানবটির সাথে লড়াই করল।রানার সাথে বেয়াদবি করার শাস্তি তাকে পেতেই হবে।সর্ব শক্তি নিয়ে দানবটির সাথে লড়াই করতে লাগল।রানার চোখের সামনে পুরা ঘর আলোতে ভরে যাচ্ছে।বিকট শব্দ তে কেপে ওঠে পুরা বাড়ি।কিন্তু এক পর্জায়ে হেরে যায় ইভা এবং সেই দানবটি ইভাকে আঘাতের পর আঘাত করতে থাকে।ইভার বাকশক্তি আর যেন নেই।একচোখে রানার দিকে তাকিয়ে থাকে এবং তাকে আভয় দেয়ার চেষ্টা করে যে সে ঠিক আছে।কিন্তু সেই চেষ্টা একান্তই মিথ্যা।কারন রানার চোখ হাত সব বাধা।আহা কি কষ্ট হচ্ছে আমার রানার।জানোয়ারটা তাকে বেধে রেখেছে কত কষ্টই না হচ্ছে না তার।এদিকে রানা ইভার আঘাত সহ্য করতে না পেরে অজ্ঞান হয়ে গেছে।ঘুমের মধ্যো রানার চেহারা অনেক মায়াবি লাগছে।অনেক ইচ্ছা করছে তার কপালে আলতো করে এক চুমা একে দিতে।কিন্তু সেই সামর্থ যে ইভার নেই।দানবটা শেষমেষ তার সর্বশক্তি দিয়ে আঘাত করল।ইভার চোখ থেকে এক ফোটা পানি বের হল।চোখ বন্ধ হয়ে আসছে।সেই দানবটি রানাকে হত্যা করার জন্য হাত বারায়।ইভা তখন বিকট চিতকার দিয়ে ওঠে।মেঘা তখন হাল্কা ভয়ের উপলব্ধি টের পায় নিজের মধ্যো।তাই সে দেখতে যায় কি চলছে।রানার কাছে এসে বিষয় তা বুঝতে পেরে তারাতারি নিজের রাজ্যো ফিরে আসে।তার মা-বাবাকে খবর দেয় এর ব্যাপারে।এ মুহুর্তও ব্যায় না করে সৈন্য নিয়ে এসে হাজির হয় সেই দানবটির সামনে।নিজের মেয়ের নিস্তব্দ শরীর টা দেখে রাগে দুঃখে সেই জ্বিনের পুরা শরীর বিক্ষিপ্ত করে দেয়।এসব তারই ভুল।যদি সে ঠিক সময় আসতে পারত তাহলে তার আদরের মেয়ে তার কলিজার টুকরাকে হারাতে হত না।একসময় দেখল রাত হয়ে গেছে চারদিকে অন্ধকার আবার ভুমিকম্প হচ্ছে।কিন্তু পরে বুঝল যে না এটা শুধুমাত্র তার নিজের সাথে হচ্ছে।কি করবে বুঝতে পারছে না।ইভার নিস্তেজ শরীর নিয়ে চলে যায় নিজ রাজ্যো।ও যাওয়ার আগে রানাকে তার বাসায় পৌছে দিয় আসে
.
.
রানা ঘুম থেকে উঠে ইভার খোজ করতে লাগে।কালকের ঘটনা তাকে পাগল করে দিয়েছে।সে যায়গায় ফিরে যায় যেখানে ইভা তাকে ভালবাসে প্রথম,ইভার পছন্দের স্থান।কিন্তু সেখানে ইভার সন্ধান পায় না রানা।অবশেষে সেই স্থানে যায় যেখানে শেষবারের মত ইভার সাথে তার দেখা হয়েছিল।কিন্তু সেখানেও রানার নিরাশা বেরে যায়।ইভার কোন ক্ষতি হয় নি তো।দানবটি ইভাকে কতই আঘাত না করেছে রর সে কিছুই করতে পারে নি।নিজেকে কাপুরুষ বলে মনে হচ্ছে।ভালবাসার জন্য কিছুই করতে পারল না।হয়ত দানবট ইভাকে আবার বন্দি বানিয়ে নিয়ে গেছে।কিন্তু রানা তো আসলে জানেই না যে তার ইভা আর নেই।এদিকে কোথা থেকে ফারিয়া এসে পথে বাধা এসে দারাল।তার ভালনাসা আদায় করার সময় হয়ে গেছে তার।এত সব পরিকল্পনা তো রানাকে পাওয়ার লোভে।সে তো তার ভাইকে ইভার প্রতি উত্তেজনা করে তাকে মারার জন্য পাঠিয়ে দেয়।তবে তার ভাইও মারা যায় এতে কিন্তু ফারিয়ার বিশেষ কোন দুঃখ হয়নি এতে।কারন সে রানার ভালবাসায় পুরা পাগল হয়ে উঠেছে।যেকোন পর্জায় রানাকে তা চাই।রানার অবহেলা তিল তিল করে খেয়ে ফেলছে ফারিয়ার হৃদয়কে।না এটা হতে দেয়া যাবে না।ইভা কেন কেউ রানার হতে পারে না শুধুমাত্র ফারিয়া ছারা।রানা তার কল্পনার জগত ভেংগে দিয়ে জিজ্ঞাসা করল
--কেন এসেছ এখানে?
--শুধু তোমাকে চাই
--এখন প্লিজ আমার কাছ থেকে চলে যাও।ইভার কোথায় আছে সেটা ভেবে আমি পাগল হয়ে যাচ্ছি।আর এখন তুমি বিরক্ত কর না
ফারিয়া অনেক রেগে ওঠে।সে তার কানে আর ইভার নামটা সহ্য করতে পারছে না
--ইভা,ইভা,ইভা শুধু এটাই করতে পার।ইভা মারা গেছে।হ্যা হ্যা আমি মেরেছি তাকে
হটাত বর রকমের ধাক্কা খায়।কিন্তু তার ইভার উপর অনেক ভরসা আছে
--এখন ফালতু কথা বলার সময় আমার কাছে নেই।আর ইভার কোন সন্ধান যদি নাই থাকে খামাখা কানের সামনে এসে চিল্লাইও না
ফারিয়া তখন ওখান থেকে চলে যায় পরীর রাজ্যো তার প্রমান দেখানোর জন্য
.
.
এদিকে ইবার বাবা এক বয়স্ক জ্বীন এবং শক্তিশালি ও জ্ঞানীও বটে তাকে নিয়ে।আসে।অনেক দেখার পর তিনি বলেন
--ইভাকে বাচানো সম্ভব নয়।তবে একটা উপায় আছে
--তারাতারি বলুন কি সেই উপায়
--ইভার শরীর এক মৃত শরীরে প্রবেশ করানোর সাথে সাথেই আমার শক্তিতে তিন দিনএর জন্য প্রান ফিরে পাবে
--কিন্তু পরে
--ইভার ভালবাসায় পাগল এক যুবকের হৃতপিন্ড ওই লাশে প্রবেশ করানোর সাথে সাথেই ইভা বেচে যাবে
--আপনি তাই করুন দয়া করে আমার মেয়েকে বাচান
--আচ্ছা আপনি হৃতপিন্ড ব্যাবস্থা করুন
ইভার বাবা চিন্তা করে ব্যাকুল কে এমন হতে পারে।সেই দানবটি তো তার নিজের আঘাতে মারা গেছে।তবে আর কোন যুবক আছে যে ইভাকে ভালবাসে।হ্যা রানার কথা মনে পরেছে তার।তবে যেই হাতে রানার জীবন বাচিয়েছে সেই হাতে তাকে মারতে হবে।না তার পারতেই হবে।অন্তত ইভার জন্য হলেও।এদিকে ইভার আত্তা মৃত এক মেয়ের শরীরে প্রবেশ করানো হয়েছে।ইভার ফিরে আসায় সবাই খুশে হয়ে ওঠে।ইভাও প্রচুর কান্না করে ভেবেছিল আর তার মা-বাবা আর আদরের বোনটাকে আর দেখতে পারবে না।এদিকে যখন দুঃখময় সৃতি চলছিল অন্যদিকে ফারিয়া রানার কাছে এসে ইভার শরীর নিয়ে আসে প্রমান স্বরুপ আর বলে ইভাকে বাচাতে তাকে মারতে আসছে ইভার বাবা।রানা তখন বলে যে সে তার হৃতপিন্ড দিয়ে হলেও ইভাকে মরতে দিবে না।কিন্তু ফারিয়া এ ব্যাপারে বাধা দিয়ে তাকে খুব গোপন স্থানে নিয়ে গিয়ে বন্দি করে রাখল
.
.
এদিকে ইভার বাবা পাগলের মত রানাকে খুজতে থাকে।অন্যদিকে ইভা সম্পুর্ন ব্যাপারটি জানতে পেরে চলে যায় রানার কাছে।রানা তখন ফারিয়াকে বলতে থাকে যে সে বেচে থাকতে ইভার কোন ক্ষতি হতে দিবে না।এদিকে ইভার বাবা তাদেরকে খুজে পায় ও রানাকে মারার জন্য হাত বারায়।রানার মনে কোন ভয় নেই আরো মনে খুশি কাজ করছে।ইভার জন্য কোনদিন কিছুই করতে পারে নি।শুধু ইভাই করে চলেছে।আজ তার জন্য কিছু করার সুযোগ এসেছে।সবচেয়ে মুল্যবান জিনিস টা ইভাকে দিয়ে যাবে।কিন্তু তা হল না।ইভা তার বাবার সামনে এসে দারাল।কিন্তু মেয়েকে বাচানোর নেশায় ইভাকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিল।মানুষের শরীরে থাকায় ইভার শক্তিও ছিল না বাধা দেয়ার।হটাত ইভার মাথায় একটা বুদ্ধি এল।রানার দিকে একটি মুচকি হাসি দিয়ে ছুরি দিয়ে নিজ শরীরে আঘাত করল।চারপাশে নিস্তব্দ পরিবেশ।বাংলা ছিনেমার ডায়লগ ছারা মেয়েটা আজ বাংলা ছিনেমার মতই নিজের জীবন উতসর্গ করে দিল।সব গুলিয়ে যাচ্ছে রানার।নিস্তব্দ পরিবেশে ইভার শরির রানার দিকে একদৃষ্টি তে চেয়ে আছে।সে ধিরে ধিরে ইভার কাছে যায়।এই বুঝি ইভা তাকে থাপ্পর মেরে বলে তারাতারি দেখা করতে।কিন্তু না...আর ইভা তাকে কিছুই করতে পারবে না।রানাকে স্বাধিন করে দিয়ে চলে গেছে।রানা পাগলের মত কাদতে থাকে।কে আজ থেকে তার খেয়াল রাখবে।কেই বা তাকে ঘুরতে নিয়ে যাবে।আবার কেই বা তাকে এতটা ভালবাসবে।চোখের সামনে সব ঘোলাটে হয়ে যায়।হটাত রানা কি ভেবে ইভার হাত থেকে ছুরি টা নেয় আর নিজ শরীরে আঘাত করে
.
.
নাহ রানা মারা যায়নি।ইভার বাবা রানাকে আটকিয়ে ফেলে।সে ইভার শেষ সৃতি তাকে কিভাবে মরতে দিতে পারে।রানাকে বাচতে হবে ইভার মা-বাবার জন্য বাচতে হবে।
.
..................................(সমাপ্ত)

0 মন্তব্য(গুলি):

Post a Comment